Advertisement
Advertisement
একশো দিনের প্রকল্প

পুকুর না কেটেই দেড় কোটি টাকা গায়েব! কাঠগড়ায় উদ্যান পালন দপ্তর

বীরভূমে একশো দিনের প্রকল্পে বেনিয়ম।

Corruption in 100 day works project in Birbhum district
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:June 22, 2019 2:15 pm
  • Updated:June 22, 2019 2:18 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি:  পুকুর চুরি। উদ্যান পালন দপ্তরের পুকুর কাটার নাম করে তিন কোটি টাকার মধ্যে দেড় কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। চুরির তদন্তে নেমে চক্ষু চড়ক গাছ জেলাশাসকের। একশো দিনের কাজে টাকা নিয়েও ২৬ টি পুকুর কাটা হয়নি।উদ্যান পালন দপ্তরের সহ অধিকর্তার নিজস্ব পাসওয়ার্ড থেকে তাঁরই ডঙ্গল ব্যবহার করে টাকা লেনদেন হয়েছে। উদ্যান প্রতিপালন দপ্তরের সমস্ত নথি বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন। বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন, সরকারি প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের ঘটনার অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে একশোর দিনে প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের সহ অধিকর্তা  সজলেন্দু সিট। বস্তুত, এই ঘটনার জন্য যা শাস্তি  দেওয়া হবে, তা মাথা পেতে নেবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

[আরও পড়ুন: বনদপ্তরের জমিতেই রমরমিয়ে চলছে অবৈধ পাথর খাদান, দেখুন ভিডিও]

একশো দিনের কাজে উদ্যান পালন দপ্তরের সঙ্গে মিলে পঞ্চায়েতে পুকুর কেটে তার পাড়ে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের প্রধানের মাধ্যমে কাজ হলেও পরিকল্পনা ও অনুমোদন করেছে উদ্যান পালন দপ্তরের। সেই হিসাবে গত আর্থিক বছরে পুকুর কাটার জন্য তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঠিক হয়, ওই টাকায় বীরভূমের মহম্মদবাজার-সহ আটটি ব্লকে ২৬টি পুকুর কাটা হবে। তদন্তে নেমে প্রশাসন জানতে পারে, প্রতিটি পরিকল্পনা থেকে টাকা বরাদ্দ করেছেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় নামে এক সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র। তার সই সাবুদে বেরিয়েছে কোটি টাকা। অথচ সেই সোমনাথবাবু দপ্তরের কেউ নন! এমনকী, এই কাজ তাঁর এক্তিয়ারেও পড়ে না। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদ থেকে ১৭ জন ইঞ্জিনিয়রকে অন্য বিভাগে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করা হলেও একমাত্র সোমনাথবাবুকে কোনও সরকারি কাজে যুক্ত করা হয়নি। বীরভূম জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের সহ-অধিকর্তা সজলেন্দু সিটের অবশ্য দাবি,  অস্থায়ীভাবে সোমনাথকে নিয়োগ করে গিয়েছিলেন আগের কর্তারা। তিনিই যত গণ্ডগোল পাকিয়েছেন।

Advertisement

কিন্তু খোদ সহ-অধিকর্তার হেফাজতে থাকা ডঙ্গল ও সেটি ব্যবহারের পাসওয়ার্ড অভিযু্ক্ত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় পেলেন কী করে? তিনি যে ডঙ্গলটি দিয়েছিলেন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন সজলেন্দুবাবু। এমনকী, তাঁর নিজস্ব আলমারি লকারের ডঙ্গলের পাসওয়ার্ড লেখা ছিল। কাজের সুবিধার জন্য সেই পাসওয়ার্ডটিও ব্যবহার করেছেন সোমনাথবাবু। শুধু সজলেন্দুবাবুই নন, এই কাজের সঙ্গে তাঁর সহযোগী সবিমল মণ্ডলও জড়িত বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে আর অফিসে আসছেন না সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

ছবি: শান্তনু দাস

[আরও পড়ুন: বজ্র আঁটুনিতে উলটপুরাণ, ‘ভিজিটরস কার্ড’ না থাকায় রোগীর আত্মীয়কে মার হাসপাতালে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ