বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, নদিয়া: করোনার (CoronaVirus) বলি আরও এক দাপুটে নেতা। এবার ভাইরাস প্রাণ কাড়ল প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও বিদায়ী বিধায়ক গৌরীশংকর দত্তের। কয়েকদিন আগে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট আসে পজিটিভ। এরপর তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। বুধবার সন্ধেয় সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
মৃত্যুকালে কৃষ্ণনগর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাপট্টি এলাকার বাসিন্দা গৌরীশংকর দত্তের বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি তিনবার কৃষ্ণনগর পুরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। পরে আংশিক সময়ের জন্য কৃষ্ণনগর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হন এবং পরে চেয়ারম্যান। ২০১৬ সালে তিনি তেহট্ট বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করেছিলেন। তবে এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি তিনি।
১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন গৌরিশংকর দত্ত। এরপর ২০০২ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পরে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যান। তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি জেলা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনের একজন বিচক্ষণ মানুষ ছিলেন তিনি। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর পরিচিতি ছিল। রাজীব গান্ধী, সোমেন মিত্র, প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ভাল সম্পর্ক ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। অত্যন্ত সুবক্তা হিসেবে ছিল তাঁর পরিচিতি। যদিও অসুস্থতার কারণে এবার তৃণমূল কংগ্রেস তাঁকে বিধানসভার প্রার্থী হিসেবে টিকিট দেয়নি।তাই অভিমানী হয়েই যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। প্রাক্তন কাউন্সিলর, ছেলে অয়ন দত্তকে সঙ্গে নিয়ে কলকাতায় গিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সেখান থেকেই তিনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’-কে জানিয়েছিলেন, ‘‘বিজেপিতে যোগ দিলেও আমার কোন দাবি নেই।’’
চলতি নির্বাচনে বিজেপির হয়ে পথেও নেমেছিলেন তিনি। তবে কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছিল। অবশেষে বুধবার সন্ধেয় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গৌরীশংকর দত্ত। এই মৃত্যুতে জেলার রাজনৈতিক মহলে নেমেছে শোকের ছায়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.