Advertisement
Advertisement

Breaking News

Adhir Ranjan Chowdhury cow smuggling issue

‘মানি ব্যাগে ভরে গরুপাচার হয়নি, রাজ্যের পুলিশ ও শাসকদলের মদত রয়েছে’, কটাক্ষ অধীরের

গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে বুধবার দিল্লি, কলকাতা-সহ ১৫টি জায়গায় হানা দেন তদন্তকারীরা।

cow smuggling in Bengali News: Adhir Ranjan Chowdhury slams Bengal government on cow smuggling issue ।Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 24, 2020 8:55 am
  • Updated:September 24, 2020 8:55 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরুপাচার কাণ্ডে (Cow smuggling case) এবার নজর সিবিআইয়ের। বুধবার দিল্লি, কলকাতা, শিলিগুড়ি, অমৃতসর, ছত্তিশগড়, গাজিয়াবাদ-সহ ১৫টি জায়গায় হানা দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সেই ঘটনা নিয়েই এবার শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। গরুপাচার ইস্যুতে ফেসবুকে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি (Adhir Ranjan Chowdhury)।

তিনি লেখেন, “বাংলার গরু পাচার রাজ্যের পুলিশ ও শাসকদলের মদত ছাড়া হতে পারে না। BSF লুঠ করেছে বর্ডারে, গরু এসেছে ট্রাক ভরতি হয়ে জাতীয় ও রাজ্য সড়ক দিয়ে। মানি ব্যাগে ভরে তো গরু পাচার হয়নি! বরং গরু পাচারের টাকা তৃণমূলের নেতার নির্বাচনী তহবিল আর পুলিশের মানি ব্যাগ ভরিয়েছে। তৃণমূল নেতারা কত করে মাসোহারা পেত সেই রেট পুলিশ যেমন জানে তেমন পাবলিকও জানে। মুর্শিদাবাদে এটা ওপেন টু অল, যারা ক্ষমতায় থাকে পাচারকারীদের কাছে তাদের কদর। কলকাতা পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে ‘দিদি’র দলের ভবিষ্যৎ, তাদের জন্য টাকার পাহাড় তৈরিতে গরুপাচার বিরাট ভূমিকা পালন করেছে।” যদিও অধীরের খোঁচা প্রসঙ্গে এখনও পালটা কোনও প্রতিক্রিয়া রাজ্যের শাসকদলের তরফে পাওয়া যায়নি।

Advertisement

Advertisement

উল্লেখ্য, বুধবার দিনভর দেশজুড়ে সিবিআইয়ের (CBI) তল্লাশি হল সেই গরুপাচারের ‘খুঁটি’তে টান দিতেই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, ওই খুঁটিতে বেশ কয়েকজন বিএসএফ ও কাস্টমস অফিসার তো বটেই, মালদহ-মুর্শিদাবাদের সীমান্তের একাধিক নেতাও বাঁধা। গরুপাচার ঘিরেই বছরে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয় দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া বা উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলির এক একটিতেই। তা যে স্থানীয় নেতা, বিএসএফ, কাস্টমসের একাংশের বদান্যতা ছাড়া চলতে পারে না তা স্পষ্ট এবং যা নিয়ে বছর কয়েক আগে তপ্ত হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি, যখন মুর্শিদাবাদের সুতির বিধায়ক চিঠি লিখেছিলেন এ নিয়ে।

[আরও পড়ুন: পুজোর মুখে টানা তিনদিন ট্রাক ধর্মঘটের ডাক, বাড়তে পারে জিনিসপত্রের দাম!]

মালদহে তখন পোস্টিং থাকা বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমার বিদ্ধ হয়েছিলেন গরু পাচারকারীদের বন্ধু হিসাবে মদত দেওয়ায়। পাচারকারীদের কিং পিন ছিল মুর্শিদাবাদের এনামুল হক, তার সঙ্গী ছিল আনারুল সেখ, মহম্মদ গোলাম মোস্তাফা। তাদের জন্য হন্যে হয়েই বুধবার সিবিআইয়ের ১১০ জন অফিসার ও কর্মীর অভিযান। সতীশকুমারের সল্টলেকের বিজে ব্লকে দু’তলা বাড়িটি বছর পাঁচেক আগে কেনেন। কিনেছেন নিউটাউনে বিশাল একটি ফ্ল্যাট। দু’টিতেই সিবিআই টিম যায়। সল্টলেকের বাড়িতে ছিলেন কেয়ারটেকার। তাঁকে দাঁড় করিয়েই একের পর এক ঘরে ঢুকে তল্লাশি চলে। ফ্ল্যাটেও হানা দেওয়া হয়। বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে বেরিয়ে যান সিবিআই অফিসাররা। মাস ছয়েক আগে শেষ কলকাতায় আসেন সতীশকুমার। এখন ছত্তিশগড়ের রায়পুরে পোস্টিং তিনি। সেখানেও যায় সিবিআই টিম।

এদিকে বুধবার সকালেই এনামুলের সন্ধানে মুর্শিবাদের লালগোলা ও রঘুনাথগঞ্জে দুটি ভাগে ভাগ হয়ে ঢোকে সিবিআই। ক’দিন আগেই এনআইএ জেলায় হানা দিয়ে আল কায়দা যোগে কয়েকজনকে ধরার পর ফের এদিনের ঘটনায় স্থানীয়রা ভেবেছিলেন ফের জঙ্গিদের সন্ধান মিলল। ভুল ভাঙে একটু পরেই। যখন এনামুলের কুলগাঠি রামচন্দ্রপুরের তালা ঝোলানো প্রাসাদোপম বাড়িতে কেয়ারটেকারকে দিয়ে তালা খুলিয়ে ঢুকে পড়ে সিবিআই। সেখানে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয় বলে খবর। তার মধ্যে রয়েছে কম্পিউটরের চিপ, ডায়েরিও। এনামুল এখন দিল্লিতে বলেই খবর। সিবিআই টিম যায় তার রাইস মিল, স্টিল কারখানায়। সীমান্তে গিয়ে গরু পাচারের সম্ভাব্য রুটের ছবিও তোলে। একইসঙ্গে এদিন অভিযান চলেছে শিলিগুড়িতেও। সেখানেও সীমান্তে পাচারের ক্ষেত্রে সতীশকুমারের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে তথ্য পেয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে এখনও গরু পাচারের একটি বড় টিমকে মদত দিতে সতীশকুমারই ভরসা। নিয়মিত টাকা পান তিনি। নজরে ছিল সবকিছু। সেইমতো বুধবার ১১০ জনের টিম ঢোকে রাজ্যে। অভিযান নিয়ে অবশ্য সরকারিভাবে কিছুই বলা হয়নি।

[আরও পড়ুন: ফলপ্রকাশের ২৪ ঘণ্টা পরই ক্লাস শুরুর নির্দেশ ‘হাস্যকর’, দাবি রাজ্যের অধ্যাপকদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ