Advertisement
Advertisement
ট্রেন

হাওড়া শাখায় জবরদখল রেলকর্মীদের জন্য বরাদ্দ ট্রেন! প্রতিবাদে সরব কর্মী সংগঠন

কন্টেনমেন্ট জোনে কর্মীদের জমায়েত নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ।

Crowd throng special trains for rail employees in Howrah
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:May 26, 2020 3:01 pm
  • Updated:May 26, 2020 3:01 pm

সুব্রত বিশ্বাস: রেলকর্মীদের যাতায়াতের জন্য বরাদ্দ বিশেষ ট্রেন রূপান্তরিত হয়েছে গণপরিবহণে। ভিড়ে ঠাসা ট্রেনটি থেকে বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ভয়। এমনটাই অভিযোগ খোদ রেলের একাংশ কর্মীর।

[আরও পড়ুন: আমফানের দাপটে ভেঙেছে পা-ডানা, রক্তাক্ত পাখিদের শুশ্রূষায় মগ্ন হাওড়ার পরিবেশপ্রেমীরা]

রেল কর্মীদের অভিযোগ, করোনা হাসপাতালের কর্মীরাও এই ট্রেনে যাতায়াত করছেন। নজরদারির অভাবে উঠে পড়ছেন অন্যরাও। শ্রীরামপুর থেকে হাসপাতাল কর্মীরা ট্রেনে চড়ায় দু’দিন ধরে ঝামেলাও হচ্ছে। লকডাউনে রেলকর্মীদের যাতায়াতের জন্য প্রথমে দু’কামরার ট্রেন চালাতে শুরু করে রেল। যা পরবর্তীতে ন’কামরার হয় দূরত্ব রক্ষার্থে। কিন্তু ইদানিং তা গণপরিবহণের চেহারা নিয়েছে। লিলুয়ায় স্টেশনে এই ট্রেনটির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছাড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। রেলের কর্মী সংগঠন ট্রেন বাড়ানোর দাবি তুলেছে।

Advertisement

পাশাপাশি কন্টেনমেন্ট জোনে রেলকর্মীদের জমায়েত করে কাজ করানো নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল। কর্মী সংগঠন এই পদক্ষেপকে রেলের স্বেচ্ছাচারিতা বলে উল্লেখ করেছে। লিলুয়া ওয়ার্কশপে পঞ্চাশ শতাংশ কর্মীকে দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। ফলে কর্মীরা কাজের সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারছেন না। ওয়ার্কশপের গেটে কোনও রকমের স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা নেই। কর্মীদের জন্য যে ট্রেন চলছে, তাতে অস্বাভাবিক ভিড় হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় কর্মীরা ট্রেনটিতে চড়ছেন। সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ছে লিলুয়া ওয়ার্কশপের কর্মীদের জন্য। বিশেষত হাওড়া মেন শাখার ট্রেনে। পূর্ব রেলের মেনস ইউনিয়নের সধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ জানান, ওয়ার্কশপের আট হাজার কর্মীর পঞ্চাশ শতাংশ দৈনিক মানে চার হাজার কর্মী নিত্য যাতায়াত করছেন। কর্মীদের জন্য মাত্র দুটি ট্রেন মেন শাখায়। ফলে আইনগত নিষেধাজ্ঞা কী করে মানবেন রেলকর্মীরা।

Advertisement

রেল বর্তমানে পঞ্চাশ শতাংশ হাজিরা বাধ্যতামূলক করায় গর হাজিরার আশঙ্কায় কর্মীরা কাজে আসছেন। না হলে বেতনহীন করা হবে। এই অবস্থায় ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তুলেছে কর্মী সংগঠন। আমিতবাবুর কথায়, ব্যান্ডেল-নৈহাটি, তারকেশ্বর শাখায় কর্মীদের জন্য কোনো ট্রেন চলছে না। ফলে মেন শাখার কর্মী ট্রেনে ভিড় হচ্ছে অস্বাভাবিক রকমের। এই ভিড় অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যবস্থা না করলে রেলকর্মীরাই আগামীতে করোনা বাহক হয়ে দাঁড়াবেন।

[আরও পড়ুন: বাংলাতেও ঢুকতে পারে পঙ্গপালের দল! দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে চাষিদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ