Advertisement
Advertisement

Breaking News

COVID-19

COVID-19: সংক্রমণ ঠেকাতে ফের কার্যত লকডাউন রাজপুর-সোনারপুরে, জেনে নিন খুঁটিনাটি

কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনেরও।

Curbs imposed at Rajpur-Sonarpur as corona cases rise | SangbadPratidin

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 26, 2021 6:14 pm
  • Updated:October 26, 2021 6:33 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসবে মরশুমে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। বেলাগাম সংক্রমণ। আর তাতেই বাড়ছে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। সেই কারণেই এবার কড়াকড়ির পথে হাঁটল দক্ষিণ ২৪ গরগনা জেলা প্রশাসন। আগামী তিনদিন কার্যত লকডাউন রাজপুর-সোনারপুরে। এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে আরও বেশি বিধিনিষেধ জারি করল পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসনও।

উৎসবের মরশুমে রাস্তাঘাটে মানুষের ঢল নেমেছিল। অনেকেই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাঠ চুকিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাতেই একলাফে বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ (Corona Virus)। ব্যতিক্রম নয় দক্ষিণ ২৪ পরগনাও। সেখানে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃতের সংখ্যা। বিশেষ করে রাজপুর ও সোনারপুরের অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি। ফলে পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে। আর সেই কারণেই আগামী বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার অর্থাৎ ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর এই দুই এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র অত্যাবশকীয় পরিষেবাই পাবেন স্থানীয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন নিয়ে স্বস্তি রাজ্যের, কলকাতা হাই কোর্টে ফের ধাক্কা ডিলারদের]

প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজপুর ও সোনারপুরে অ্যাকটিভ রোগী তুলনামূলক বেশি। সংক্রমণ রুখতে ২৮, ২৯ ও ৩০ অক্টোবর তাই বন্ধ থাকবে বাজার, দোকানপাট। শুধুমাত্র জরুরি জিনিসপত্রই কেনা যাবে। এতে মানুষ বাড়িতে থাকবেন এবং ভিড় অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়াও মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার নিয়ে সতর্ক করার জন্য মাইকিং করা হবে। কড়া বিধিনিষেধের পাশাপাশি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন (Micro Containment Zone) বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।

Advertisement

একইরকম ভাবে কড়া পদক্ষেপ করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর প্রশাসনও। জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সমস্ত মাইক্রোকনটেনমেন্ট জোনে বন্ধ থাকবে বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান। ওই সব এলাকায় কোনও জমায়েত করা যাবে না। অনাবশ্যক সব কাজ বন্ধ রাখতে হবে। এমনকী আগামিকাল থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ওই এলাকায় গণপরিবহণও বন্ধ থাকবে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। 

কলকাতায় যদিও নতুন করে কনটেনমেন্ট জোন তৈরির পরিকল্পনা নেই। বরং টেস্টিং, ট্রেসিং এবং টিকাকরণেই জোর দিচ্ছে প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: ‘ঝগড়া কোরো না’, পাহাড়ের প্রশাসনিক বৈঠকে দলীয় সাংসদকে ‘ধমক’ মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ