শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ভোরের আলো ফুটতেই সাগরদিঘির বহালনগরে পৌঁছল কুলগামে মৃত বাংলার পাঁচ শ্রমিকের দেহ। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দেহ গ্রামে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। আজ দুপুরে গ্রামেই শেষকৃত্য হবে নিহত শ্রমিকদের।
জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতেই বিমানে কলকাতায় পৌঁছয় কাশ্মীরে মৃত বাঙালি শ্রমিকদের দেহ। মৃতদেহ বিমানবন্দরে নামার পর রাতেই সড়কপথে দেহগুলি নিয়ে সাগরদিঘির উদ্দেশ্যে রওনা দেন মন্ত্রী ফিরহাদ। বৃহস্পতিবার ভোরের সাড়ে পাঁচটা নাগাদ সাংসদ আবু তাহের খান ও ফিরহাদ হাকিম রফিক শেখ, কামরুদ্দিন, মুরসালিম শেখ, নইমুদ্দিন শেখ ও রফিকুল শেখের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে গ্রামে পৌঁছয়। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দিতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম। এরপর নিহত শ্রমিকদের মাল্যদান করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মন্ত্রী। ফিরহাদ হাকিম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বহালনগর যাবেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিনই নিহতদের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দেবেন তিনি।
বহালনগরে দাঁড়িয়েই এদিন কেন্দ্রকে তোপ দাগেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরও কেন কাশ্মীরের সন্ত্রাস হামলা রোখা গেল না? কেন বেঘোরে প্রাণ দিতে হল ৫ শ্রমিককে? ঘটনার তীব্র নিন্দা করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি। ফিরহাদ হাকিম বলেন কর্মসূত্রে রাজ্যের মানুষ বাইরে যাবে, বাইরের লোকেরা বাংলায় আসবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে কেন পেটের দায়ে ঘর ছেড়ে বারবার বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে বাঙালিদের। শ্রমিকদের নিরাপত্তার দায় কার এই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বহালনগর এলাকা থেকে জনা পনেরো শ্রমিকের একটি দল গিয়েছিল কুলগামে। মূলত আপেল বাগানে কাজ করতে যান এরা। কাতরাসু গ্রামেই একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে সেই বাড়ি থেকে ওই শ্রমিকদের বের করে এনে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। সেখানেই মৃত্যু হয়েছিল সাগরদিঘির পাঁচ শ্রমিকের। গুলিবিদ্ধ হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ১ জন।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.