Advertisement
Advertisement

১৪ ঘণ্টা লাইনে পড়ে রেলকর্মীর দেহ, ক্ষোভ অন্যান্য কর্মীদের মধ্যে

উত্তেজনা দেখে মেমো ছাড়াই দেহ তুলল পুলিশ৷

Deadbody of a railway staff remain in railline for fourteen hours, others workers shows anger

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 12, 2018 8:55 pm
  • Updated:June 12, 2018 8:55 pm

সুব্রত বিশ্বাস: চোদ্দো ঘণ্টারও বেশি সময় লাইনের ধারে পড়ে রইল এক রেলকর্মীর মৃতদেহ। রীতিমতো ক্ষুব্ধ রেলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। অভিযোগ উঠছে ঠিকমতো চিকিৎসা করা হয়নি তাঁর৷ কার গাফিলতিতে দেহ উদ্ধারে বিলম্ব? উঠছে প্রশ্ন৷

[বনগাঁয় নির্দল প্রার্থীকে মারধর, অভিযুক্ত বিজেপি নেতা]

Advertisement

রেলের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মী কার্তিক দাস (৪৮) সোমবার রাতে ট্রেনে যাওয়ার পথে পোস্টে ধাক্কা লেগে পড়ে যান। এরপর সারারাত লাইনের ধারেই পড়ে থাকে তাঁর দেহটি। দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকলেও আশপাশ দিয়ে যাতায়াতকারী ট্রেনের কোনও চালক বা গার্ড কেউই কোনও রিপোর্ট দাখিল করেননি। কার্তিকবাবুর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসা পেলে হয়তো তাঁকে বাঁচানো যেত। এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ রেলকর্মীরা প্রথম খবর দেন হাওড়া স্টেশনে। আইন অনুযায়ী চিকিৎসক ডাকা ও রেল পুলিশকে মেমো দেন ডেপুটি স্টেশন ম্যানেজার (কমারর্সিয়াল)। তিনিই এদিন বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ আসেন। দেহটি তখনও লাইনের ধারে পড়ে।

Advertisement

[স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে অবশেষে গ্রেপ্তার আবগারি আধিকারিক]

এরপর খবর দেওয়া হয় চিকিৎসককে৷ কিন্তু কোন চিকিৎসকের অধীনস্থ এলাকা তা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়। এই চাপানউতোরে বেলা এগারোটা গড়িয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা। এই গড়মসিতে দেহটি পড়ে থাকায় শুরু হয় উত্তেজনা। এর পর উত্তেজনা যাতে না ছড়ায় সেজন্য মেমো ছাড়াই মৃতদেহটি তুলে আনে রেল পুলিশ। এদিনের এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, এ কেমন দায়িত্ববোধ রেল কর্মীদের। চালক সাধারণত লাইনে দেহ দেখলে পরবর্তী স্টেশনে খবর দেন। এক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেখা যায়নি। ডেপুটি এসএস নেই বলে মেমো দেওয়ার কেউ থাকবে না? ইয়ার্ডের এলাকা, না বামুনগাছি, এই চাপানউতোরে বহু সময় বেরিয়ে যায়। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট সড়ক দুর্ঘটনায় আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সহযোগী মানুষের নাম তালিকাভুক্ত করাটা বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছে, তখন রেলে এই ধরনের দুর্ঘটনাগ্রস্তকে উপেক্ষা করাটা আইনত ঠিক কিনা, প্রশ্ন তুলেছেন রেলের স্বাস্থ্যকর্মীরাই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ