রাজা দাস, বালুরঘাট: দলের নিচুতলার কর্মীদের একাংশের আপত্তি ছিলই। দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রার্থী বদলের দাবিতে সরবও হন তাঁরা। আর এবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে অন্য কাউকে প্রার্থী করার দাবি তুললেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। তাঁর অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে এলাকায় কোনও কাজেই বিদায়ী সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে পাওয়া যায়নি। দলের নিচুতলার কর্মীরা রীতিমতো ক্ষুদ্ধ।
[রাজনীতিতে নতুন মুখ, ঝাড়গ্রামে শাসকদলের প্রার্থী বীরবাহা সোরেন]
কলকাতার নাট্যমহলে পরিচিত মুখ অর্পিতা ঘোষ। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম পর্বে রাজ্যের তৎকালীন শাসকদলের বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী হন অর্পিতা ঘোষ। ভোটে জিতেও যান তিনি। কিন্তু সাংসদের কাজকর্মে একেবারেই খুশি নন এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। ক্ষোভ এতটাই যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষের বদলে দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে প্রার্থী করার দাবি তুলেছিলেন শাসকদলের কর্মীদের একাংশ। এমনকী, হোয়াটসঅ্যাপের একটি গ্রুপেও সাংসদের সম্পর্কে বেশ কয়েকজন তৃণমূলকর্মী আপত্তিকর মন্তব্যও করেছিলেন বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার কলকাতায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে ৪২টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে ফের বিদায়ী সাংসদ অর্পিতা ঘোষকেই প্রার্থী করা হয়েছে। আর তাতেই পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে। দলের কর্মীদের বক্তব্যকে সমর্থন করে প্রার্থী বদলের দাবি তুলেছেন খোদ তৃণমূল কংগ্রেস দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র। জেলা সভাপতির বক্তব্য, বিদায়ী সাংসদ ও প্রার্থীকে নিয়ে তাঁর কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শাসকদলের নিচুতলার কর্মীরা। বিষয়টি দলনেত্রীকে জানাবেন তিনি। এদিকে বালুরঘাটের তৃণমূল কর্মীদের যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিদায়ী সাংসদ ও প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ।
[ প্রার্থী দুই শিষ্য, নিজের গড়ে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে অধীর]