সৈকত মাইতি, তমলুক: ঐতিহাসিক তমলুকের রূপনারায়ণে মকরস্নানে এসে শুধু পুণ্য অর্জনই নয়, অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কারের উর্ধ্বে উঠে একেবারে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন হাওড়া জেলার এক দম্পতি। আর কেবল এই দম্পতিরাই নয়। স্বপনবাবুদের মত এমন প্রায় ২৫ জন আনুষ্ঠানিক ভাবেই রূপনারায়ণকে স্বাক্ষী রেখে দেহদানে অঙ্গীকার করেছেন।
[অজানা চোরের আতঙ্কে তটস্থ বাঁকুড়াবাসী, বিভ্রান্তিতে নাজেহাল পুলিশও]
হাওড়া জেলার সুলতানপুর এলাকার বাসিন্দা স্বপন মণ্ডল ও স্ত্রী কাকলী মণ্ডল। পেশায় বাদ্যযন্ত্রের প্রস্তুতকারক স্বপনবাবু কর্মসূত্রে কলকাতার মানিকতলায় ভাড়া বাড়িতে থাকেন। আগেই এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। এরপর বাড়িতে একমাত্র ছেলে ও বৌমাকে নিয়ে ছোট্ট সংসার। কিন্তু সারা বছর কাজের তাগিদে ব্যস্ত থাকলেও প্রতি বছরই মকরস্নানে বেরিয়ে পড়েন এই দম্পতি। এবার মকর সংক্রান্তির স্নানে তমলুকের বারুনি মেলায় এসেছিল তারা। এদিকে তমলুকের গঙ্গারঘাট এলাকায় উত্তরচড়া শঙ্করআড়া এলাকায় শান্তি সংঘের উদ্যোগে নানান সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি অভিনব ভাবেই বারুণি মেলাতেই মরনোত্তর দেহদানের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। মেলা জুড়েই চলছিল মাইকিং এর মাধ্যমে জোর প্রচার। আর এতে বেশ সাড়াও পাওয়া গেল। স্বেচ্ছায় এগিয়ে এসে এই পুণ্যমেলায় মকর স্নানের পাশাপাশি দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হলেন তারা।
স্বপনবাবুর স্ত্রী কাকলিদেবী জানালেন, এক আত্মীয়ের কাছে শুনেছিলাম দেহদান করলে সমাজের মঙ্গলসাধনের মাধ্যমে পুণ্যলাভ হয়। তাই বহু দিনের ইচ্ছে ছিল। কিন্তু কিভাবে করব তা বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আর তমলুকে মকরস্নানে গিয়ে মাইকের প্রচার শুনে জানতে পেরেই খুশি মনে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এদিকে স্বপনবাবুদের পাশাপাশি তমলুকের তাপস গুছাইত ও নমিতা গুছাইত নামে আরও এক দম্পতি দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন। এমনই ভাবে এই মেলায় প্রায় ২৫জন দেহদান করে রীতিমত সাড়া ফেলেছেন। সংগঠনের সম্পাদক অপূর্ব মিশ্র, সহ সম্পাদক সৌমেনকুমার গজেন্দ্র মহাপাত্র বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি আমাদের সারা বছর ধরেই চলে। বর্তমানে মানুষ অনেকটাই সচেতন হয়েছে।
[মহিলাদের খোঁপা-ফলের মধ্যে দেদারে জেলে ঢুকছে সিম কার্ড, প্রশ্নের মুখে তল্লাশি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.