Advertisement
Advertisement
জন সংযোগে ডিএফও

‘দিদিকে বলো’র ধাঁচে জনসংযোগে ডিএফও, পার্কের হাল জানতে পর্যটকদের সঙ্গে সরাসরি কথা

দু'দিনে চার পার্ক পরিদর্শন বনাধিকারিকের।

DFO starts to communicate with tourists, know complain about park in NB
Published by: Paramita Paul
  • Posted:December 27, 2019 11:47 am
  • Updated:December 27, 2019 11:47 am

শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: এবার ‘দিদিকে বলো’-র ধাঁচে জনসংযোগে নামছেন বনাধিকারিক।পার্কের পরিস্থিতি জানতে এবার সরাসরি পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বন দফতরের উদ্যান কানন বিভাগের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (উত্তরবঙ্গ) অঞ্জন গুহ এমনই উদ্যোগ নিয়েছে। পার্কের পরিষেবা, অভাব-অভিযোগ, সমস্যা কিংবা হাল হকিকত সম্পর্কে পার্কে বেড়াতে আসা পর্যটক ও কচিকাঁচাদের থেকে সরাসরি শুনবেন তিনি। 

বুধ ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলার একাধিক পার্ক পরিদর্শনে যান অঞ্জনবাবু। পরিদর্শনে গিয়ে পার্কে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সঙ্গে কথাও বলেন। পার্কের পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ কয়েকজন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও দেন। আবার কেউ কেউ কিছু সমস্যা ও উন্নয়নের কথা জানান। অঞ্জন গুহ বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং বনমন্ত্রীর উদ্যোগে উত্তরবঙ্গের প্রত্যেকটি মনোরঞ্জন পার্ক সেজে উঠেছে। প্রচুর টাকা ব্যয় করে উন্নয়ন করা হয়েছে। সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বললে সমস্যার পাশাপাশি নতুন পরিকল্পনা উঠে আসে। সেজন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছি।” প্রসঙ্গত, বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গল সাফারি পার্ক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই তিনি পার্কের পর্যটকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার পরিকল্পনা করেছিলেন।

Advertisement

Advertisement

[আরও পড়ুন : মর্মান্তিক! বন্ধুকে ‘টা-টা’ করেই ব্রিজ থেকে গঙ্গায় মরণঝাঁপ যুবকের]

দু’দিনে শিলিগুড়ি পার্ক, মালবাজার পার্ক, জলপাইগুড়ির তিস্তা উদ্যান ও ওদলাবাড়ি পার্ক পরিদর্শন করেন অঞ্জনবাবু। পরিদর্শনের সময় পানীয় জল পরিষেবা, কচিকাঁচাদের খেলার সরঞ্জাম বৃদ্ধি, আলোকসজ্জা-সহ একাধিক বিষয় পর্যটকরা অঞ্জনবাবুকে জানান। প্রত্যেকটি বিষয় নিজের নোটবুকে নথিভুক্ত করেন তিনি। সমস্ত সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব করবেন বলে আশ্বাসও দেন তিনি। পরবর্তীতে কোচবিহারের এনএন পার্ক, আলিপুরদুয়ার পার্ক, বীরপাড়া, ইসলামপুর ও বালুরঘাট পার্ক পরিদর্শনে গিয়ে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে প্রত্যেকটি বিনোদন পার্কে অতিরিক্ত খেলার সরঞ্জাম, বিনোদনের সামগ্রী, কার্টুন, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা, মুইজিক্যাল চেয়ার-সহ একাধিক মনোরঞ্জনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় আট থেকে দশ লক্ষ টাকা খরচ করে আলোকসজ্জায় সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পার্কগুলি। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ