সুব্রত বিশ্বাস: ‘বেটি পড়াও, বেটি বাঁচাও’। কেন্দ্রের এই যোজনা যে নিছক কথার কথা নয়, তার প্রমাণ দিতে সর্বাগ্রে ঠেলে দেওয়া হয়েছে রেলকে। অর্ধেক আকাশ জুড়ে ‘নারী’ তা প্রমাণ দিতে রেল নারী শক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। ট্রেন চালানো থেকে পুরো স্টেশন পরিচালনা, থানা পরিচালনার ক্ষেত্রে সবাই মহিলা এটা আমরা আগেই দেখেছি। কিন্তু এবার একটা আস্ত ট্রেনের সব দায়িত্ব সামলাবেন মহিলারাই। তাও আবার এই রাজ্যেই। আর হাতের ধরাছোঁয়ার মধ্যেই রয়েছে সেই ট্রেন। হাওড়া-দিঘা সুপার ফাস্ট এসি এক্সপ্রেস। ট্রেনটির কোচ অ্যাটেনডেন্ট থেকে টিকিট পরীক্ষক সব দায়িত্বই তুলে দেওয়া হচ্ছে নারী বাহিনীর হাতে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য বাণিজ্য আধিকারিক জয়া সিনহা ভার্মা জানিয়েছেন, ট্রেনের সব দায়িত্ব মহিলারা সামলালে মহিলা যাত্রীরা নিজেদের সুরক্ষিত মনে করবেন। আর প্রয়োজন পড়লে মহিলারা তাঁদের দক্ষতাও দেখাতে পারেন। তাই ছোট ছোট ইউনিটের পুরো দায়িত্বই মহিলাদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দিঘা এসি এক্সপ্রেসের টিকিট পরীক্ষক, কনডাকটিং পুরো দায়িত্ব মহিলাদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবার ওই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব সব মহিলা আরপিএফকে দেওয়া হবে। ক্যাটারিং পরিচালনাও করবেন মহিলারা। কিন্তু চালক বা গার্ড এখনই বদল করা হচ্ছে না। তবে যদি এইসব পদে মহিলা পাওয়া যায় তবে তারও বদল ঘটানো হবে তাড়াতাড়ি।
[ষাড়েঁরও শ্রাদ্ধ! নিয়ম মেনে সমস্ত আচার পালন, নরনারায়ণ সেবা]
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এই উদ্যোকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রেলযাত্রীরা। তাঁদের কথায়, মহিলা দ্বারা পরিচালিত ট্রেন হলে যাত্রীদের হয়রানি কমবে। কাজেরও স্বচ্ছতা থাকবে। দিঘার এসি ট্রেনটি এমনিতেই জনপ্রিয় ও যাত্রীদের কাছে যথেষ্ট গ্রহণীয়। ফলে মহিলাদের অভ্যর্থনা ও কর্মকুশলতা এই ট্রেনটিকে সাধারণের কাছে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে তুলবে।
এই ট্রেনটি দিঘা ‘দুরন্ত’ নামে আত্মপ্রকাশ করলেও বছর তিনেক আগে স্টপেজ বাড়িয়ে এটিকে দিঘা এসি সুপার ফাস্ট নাম দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও এই ট্রেনের জনপ্রিয়তা একটুও কমেনি। আর এবার সরকারের এই নয়া উদ্যোগ এই ট্রেনটিকে আরও খানিকটা জনপ্রিয়তা দেবে বলেই মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।
[গায়ের রং কালো, নাবালিকা বধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে]