Advertisement
Advertisement
দক্ষিণ-পূর্ব রেল

বুলবুলের দাপটে ব্যাঘাত রেল পরিষেবা, ঝড়ের আতঙ্কে বাতিল কিছু ট্রেন

পূর্বাভাস সত্ত্বেও ব্যবস্থাপনায় গাফিলতি।

Digha-Pashkura and some more train cancel due to cyclone Bulbul
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:November 10, 2019 9:02 am
  • Updated:November 10, 2019 9:02 am

সুব্রত বিশ্বাস: শনিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ বুলবুল সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়ল ভয়াল চেহারায়। আগাম সতর্কতায় শনিবার ও রবিবার পাশকুড়া-দিঘা ও হাওড়া-পাশকুড়া-দিঘার লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ঝড়ের তীব্রতা টের পেতেই ট্রেন বাতিলের সংখ্যা বাড়িয়েছে রেল। সন্ধে সাতটা থেকেই লক্ষ্মীকান্তপুর-নামখানার মাঝে ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনকী, বাসুলডাঙা-ডায়মন্ডহারবারের মাঝে তারে গাছ পড়ে যাওয়ায় বারুইপুর ও ডায়মন্ডহারবারের মাঝে ট্রেন বন্ধ হয়ে যায় প্রায় ওই একই সময়ে। 

শনিবার সকালে হাড়োয়ার নিকটবর্তী লেবুতলা হল্টের কাছে লাইনের উপর ঝাড় থেকে বাঁশ হেলে পড়লে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। এছাড়া রাত পর্যন্ত পূর্ব রেলে কোনও বিপত্তি দেখা যায়নি। তবে নিরাপত্তায় একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এদিকে সন্ধের পর ঝড়ের দাপটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্রেনও বিলম্বে চলা শুরু করে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বুলবুল মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন, সতর্কবার্তা দিলেন সাংসদ দেব-মিমি]

সিকিউরিং অফ ভেহিক্যাল: ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ি ও যাত্রীবাহী গাড়ির চাকায় বেড়ি দিতে হয়। চেন দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। হাওড়ার ডিআরএম ইশাক খান বলেন, ইয়ার্ডে গাড়িকে চেন দিয়ে বাঁধা হয়। নিয়ম মেনে বাঁধা হলেও তা যথাযথভাবে হয় না বলে এক শ্রেণির রেলকর্তাদের মত। মালগাড়ি ও খালি যাত্রীবাহী ট্রেনে সামনে ও পিছনে ছ’টা ভেহিক্যাল অন্তর হ্যান্ডব্রেক ডাউন করে ব্রেক লাগাতে হয়। সামনে ও পিছনের ছ’টা করে চাকা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়। সামনে, মাঝে ও পিছনে লোহার গুটকা লাগাতে হয়। শুধু তাই নয়, স্টেশনে কোনও কারণে দু’ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়ালে পুরো ট্রেনটি সিকিওর করতে হবে। চালক ও গার্ড ট্রেন ছেড়ে সরতে পারবেন না। এখন সব ট্রেনেই রোলার বিয়ারিং, ফলে তা হড়কে ইয়ার্ড থেকে বেরিয়ে চালু লাইনে চলে আসাটা অমূলক নয় বলে ধারণা। 

Advertisement

ঘেঁষ বোঝাই ওয়াগন: লাইনের বিভিন্ন জায়গা রয়েছে যা ধসপ্রবণ বলে পরিচিত এলাকা। ওই এলাকায় ঘেঁষ বোঝাই ওয়াগন রেডি রাখতে হয়। তবে শনিবার বুলবুলের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় রেলের তরফে এমন প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বলা হয়নি। যেমন বলা হয়নি ‘ঘাট সেকশান’ বলে উঁচু-নিচু শাখায় যে প্রস্তুতি নেওয়ার আইন বাধ্যতামূলক বলে বলা হয়েছে। ওই শাখায় চালকের কামরায় বালি রাখতে হয়। উঁচু জায়াগায় উঠতে চাকা হড়কে যাওয়ার আশঙ্কায় লাইনে দিতে হয় বালি। রোলার বিয়ারিং হড়কানোর সম্ভবনা তীব্র। 

[আরও পড়ুন: নর্দমার সাফ করতে গিয়ে উদ্ধার দেড়শো বছরের প্রাচীন তলোয়ার, চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ