স্টাফ রিপোর্টার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: অমানবিক বললেও যাকে কম বলা হয়। যার জন্য পৃথিবীর আলো দেখা, সম্পত্তির লোভে সেই বৃদ্ধা মাকেই নির্মমভাবে মারধরের অভিযোগ উঠল স্কুল শিক্ষক ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। মারধরের সময়ে মায়ের মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয় তারা। মাথা ফেটে যায় ওই বৃদ্ধার। অত্যাচার আর সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ছেলে ও পুত্রবধূর নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। বারুইপুর থানার সুভাষগ্রাম এলাকার ঘটনা। আহত অবস্থায় দীপালি দে নামে ওই বৃদ্ধা সুভাষগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছেলে ঝন্টু দে ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তার স্ত্রী টগরী দে’কে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীপালিদেবীর স্বামী মারা গিয়েছেন। তাঁর দুই মেয়ে, এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সুভাষগ্রাম এলাকায় একটি দোতলা বাড়িতে তিনি ছেলে ও তার বউয়ের সঙ্গে থাকেন। বাড়িটি তাঁর নামেই রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর উপর নানা কারণে অত্যাচার চালাত ঝন্টু। কথায় কথায় চলত গায়ে হাত তোলাও। এর আগেও মায়ের উপর অত্যাচার করায় ঝন্টুর নামে থানায় অভিযোগ হয়েছিল। বেশ কয়েকবার জেলও খাটে সে। কিছুদিন আগেই জেল থেকে ফিরে আসে ঝন্টু। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই মায়ের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি চলছিল। ঝন্টুর দাবি, দোতলা বাড়িটি তার নামে লিখে দিতে হবে। এনিয়ে মায়ের উপর সে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু দীপালিদেবী রাজি না হওয়ায় তাঁর উপর চড়াও হয় ঝন্টু ও টগরী। দু’জনে মিলে মাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। মারধরের সময়ে মায়ের মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয়। মাথা ফেটে গলগল করে রক্ত বের হতে থাকে। দীপালিদেবী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতের দিকে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় ঝন্টু। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তার বাড়ি আসে। টগরীকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়। ঝন্টুর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ঝন্টু দে শিক্ষকতা করলেও তার আচরণ অত্যন্ত রূঢ় ছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.