তদন্তে গেলেন আধিকারিক। নিজস্ব চিত্র
সুমন করাতি, হুগলি: প্রসবের নির্দিষ্ট সময়ের একমাস আগে সিজার করেছিলেন চিকিৎসক। আর তারপরেই ৮০ শতাংশ ব্রেন ডেড হয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা বছর ২৫-এর অপর্ণা পাত্রের। চিকিৎসকের গাফিলতিতেই তাঁর এই পরিণতি। এমনই অভিযোগ করেছেন অপর্ণার পারিবার। হুগলির চুঁচুড়ার এই ঘটনায় তৃণমূলের অন্দরেও জোর গুঞ্জন উঠেছে। দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার সেই ঘটনার তদন্তে নেমেছেন হুগলি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর।
হুগলি জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের কথা হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃগাঙ্ক মৌলি কর শনিবার সকালে চুঁচুড়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছন। বিভিন্ন কাগজপত্র খুঁটিয়ে দেখে তিনি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “একজন মা এভাবে মারা যাবেন, আমরা কিছুতেই সহ্য করব না। অবশ্যই সঠিক তদন্ত হবে। যদি কাউকে দোষী পাওয়া যায়, তাঁর শাস্তি ব্যবস্থা হবে।”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, সিএমওএইচ সমস্ত কিছু দেখেছেন। তদন্তের স্বার্থে কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নতুন করে কোনও রোগী ভর্তি না করার। যে সব রোগী রয়েছেন, তাঁদেরও সুস্থ করে দ্রুত ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বিভিন্ন মহলে। চিকিৎসক থাকবেন না বলেই প্রসবের নির্ধারিত সময়ের একমাস আগে সিজার করে দেওয়া হল?
হুগলির সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা পাত্র সন্তানসম্ভবা ছিলেন। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসককে প্রাইভেটে দেখানো হত। নির্ধারিত প্রসবের সময় একমাস বাকি থাকতেই চিকিৎসক জানিয়ে দেন, তিনি থাকবেন না। তাঁর কথামতো গত ৬ জানুয়ারি চুঁচুড়া হাসপাতাল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর সিজার হয়। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর তিনি কোমায় চলে যান। অপর্ণা পাত্রকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখান থেকে জানানো হয়, তাঁর ৮০ শতাংশ ব্রেন ডেড হয়ে গিয়েছে। তাঁকে সেখান থেকে চুঁচুড়ার অন্য একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক একমাস ধরে ছুটি নিয়ে বাইরে আছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.