সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করলেও, পরিকল্পনা কাজে এল না। কারণ, বৈঠকে হাজিরই হল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে, বিশ্বভারতী প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সকলের কাছে বাংলার সংস্কৃতি বজায় রাখার আরজি জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে গড়া বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য রক্ষার পরামর্শ দিলেন তিনি।
বিশ্বভারতী কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। জট কাটাতে বুধবার দপ্তরেই সবপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রশাসনের আহ্বানে সাড়া দিল না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, বুধবার রাজ্য সরকার তথা জেলা প্রশাসনের তরফে ডাকা প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত হয়নি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এমনকী তাঁদের তরফে কোনও প্রতিনিধিও পাঠানো হয়নি। ফলত সমস্যা সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বৈঠক করতে হল আশ্রমিক, ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধি, সমাজসেবক ও ছাত্রদের সঙ্গে। এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর দাবি, তারা চেয়েছিলেন বৈঠক এলাকায় হোক। তা না হওয়ার কারণেই উপস্থিত হতে পারেননি তাঁরা।
[আরও পড়ুন: গঙ্গার ভাঙনে ঘরছাড়া মুর্শিদাবাদের বহু পরিবার, পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে সাংসদ খগেন মুর্মু]
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর পাঁচিল ভাঙাকে কেন্দ্র করে সোমবার থেকেই চাপানউতোর চলছে। বারবার রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়েরও করেছে কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছে তারা। এর মাঝেই বৈঠক করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় সেই পরিকল্পনাও ফলপ্রসূ হল না। অন্যদিকে, শান্তিনিকেতনের এই প্রাচীর তৈরির বিরোধিতায় এদিন পথে নেমেছেন প্রবীণ আশ্রমিকরা। কারও হাতে পোস্টারে লেখা, “প্রাচীর নয়, কথা হোক”। কোনটিতে লেখা লেখা, “শাসনে যতই ঘেরো, আছে বল দুর্বলেরও”। দীর্ঘক্ষণ গানের মাধ্যমেও গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানান তাঁরা।