সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মহত্যার চেষ্টা করা যুবকের মুখে মাস্ক ছিল না। অভিযোগ, সেই অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেন ডাক্তার। এরপর যুবকের মৃত্যু হলে ডাক্তারের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অস্বীকারের অভিযোগ তুলে হাসপাতাল ভাঙচুর করলেন মৃতের আত্মীয়রা। তাতে জখম হন দু’জন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাবড়া হাসপাতাল চত্বরে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অশোকনগর ১ নম্বর ওয়ার্ডের বনবনিয়া এলাকার বাসিন্দা গৌতম দাস নামে এক বছর বিয়াল্লিশের যুবক পেশায় গাড়িচালক। গাড়ির মালিকের সঙ্গে দিন কয়েক ধরে অশান্তি চলছিল তাঁর। শনিবার রাতে তিনি বাড়ি ফিরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ব্যাপারটা পরিবারের সদস্যদের নজরে আসায় তাঁরা তড়িঘড়ি উদ্ধার করেন গৌতমকে। এরপর দ্রুত হাবড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁর মুখে মাস্ক না ছিল না। এই অবস্থায় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৌতমের চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় জখম করোনা রোগী পড়ে রইলেন রাস্তায়, সংক্রমণের আশঙ্কায় ছুঁলেন না কেউ]
কিছুক্ষণের মধ্যেই গৌতমের মৃত্যু হয়। এরপর চিকিৎসা না করাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে আত্মীয়রা ভাঙচুর চালান হাসপাতালে। ভেঙে দেওয়া হয় জানলার কাঁচ। উত্তেজিত হয়ে ভাঙচুর করতে গিয়ে আহত হন রোগীর পরিবারেরই দুই সদস্য। তাঁদের আবার চিকিৎসার জন্য বারাসতে পাঠানো হয়। হাবড়া হাসপাতাল ভাঙচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতিত নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিবারের অভিযোগ, সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে বাঁচানো যেত গৌতমকে। তবে যাঁর বিরুদ্ধে রোগীকে না দেখার অভিযোগ, সেই কর্তব্যরত চিকিৎসক কিন্তু এ বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। হাসপাতালের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র রোগীর মুখে মাস্ক নেই, এই অজুহাতে ডাক্তারবাবু চিকিৎসা এড়িয়ে গিয়েছেন, এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ সাপেক্ষ। তবে ঘটনায় ইতিমধ্যেই চিকিৎসকের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।