সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র পারিষদ সদস্য বনাম শাসক দলেরই ‘ডিএসপি এমপ্লয়িজ কো–অপারেটিভ সোসাইটির লিমিটেডে’র দ্বন্দ্ব। সোসাইটির খাদ্যশস্যের স্টকে গলদ আছে এই অভিযোগে মেয়র পারিষদ সদস্য নিজেই গোডাউনে হানা দিয়ে ‘বাজেয়াপ্ত’ করেন রেজিস্টার। স্টকে গরমিল নিয়ে অভিযোগও করেন মহকুমা শাসককেও। খাদ্য ও সরবারহ দপ্তর তদন্ত করে ক্লিনচিট দেয় সোসাইটিকে। তারপরই দুই পক্ষের বিবাদ তুঙ্গে। মেয়র পারিষদের ‘অনধিকার’ চর্চা নিয়ে সরব দুর্গাপুর নগর নিগম ও দল।
অভিযোগ, সোসাইটির স্টকে ১৯০০ কুইন্টাল গম ও ১৭০০ কুইন্টাল চালের বস্তায় গরমিল খুঁজে পান মেয়র পারিষদ সদস্য (খাদ্য) অমিতাভ বন্দোপাধ্যায়। লকডাউন চলাকালীন এই গরমিল নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয় সোসাইটির। খাদ্য ও সরবারহ দপ্তর এই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। সোসাইটির ৯ টি গোডাউন পরীক্ষা করে ৮ এপ্রিল ক্লিনচিট দেয় সোসাইটিকে। সোসাইটির নির্দেশক কমলজিৎ সিং ও সম্পাদক সুজয় নাথ জানান, “ লকডাউনের জন্যে গোডাউন থেকে ডিলারদের মাল সরবারহে প্রাথমিক সমস্যা ছিল। মজুরদের কাজে আসা নিয়েও সমস্যা ছিল। তারপর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় খাদ্যসামগ্রী সরবারহ করা হয়। খাদ্য ও সরবারহ দপ্তর তদন্ত করে স্টক নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ থেকে মুক্ত করেছে। বিষয়টি মেয়র ও দলকে জানানো হয়েছে।”
এই বিষয়ে দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি জানান,“ এক্তিয়ারের মধ্যে থেকেই কাজ করা উচিত।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন,“ গরিবকে রেশন দিতে হবে। অনিয়ম দেখলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করতে হবে।” মেয়র পারিষদের এই ‘হানাদারি’র সমালোচনা হলেও দমেননি জহরবাবু। তিনি বলেন,“ প্রতিহিংসাপরায়ণ নই। নৈতিক দায়িত্ব নিয়ে কাজ করব। দুর্নীতি আছে কিনা তা প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.