Advertisement
Advertisement

পুর নির্দেশে রোগী ধরতে এবার ছুটবেন ডাক্তাররাই

বাড়ির দরজায় পৌঁছে যাবে পুরসভার চিকিৎসা-ইউনিট৷ রোগী ধরতে ছুটবেন চিকিৎসকরা৷

Due To Kolkata Municipal Corporation's Order, Doctor Will Now Visit Patient's Word
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2016 9:11 am
  • Updated:June 17, 2016 9:11 am  

সন্দীপ চক্রবর্তী: রোগী ধরতে বস্তি বস্তি ঘুরছেন ডাক্তাররা৷
আগে এমন হত৷ সেটা আরোগ্য নিকেতন-এর যুগ৷ বনফুলের অগ্ণীশ্বর ঘুরে ঘুরে রোগী দেখেছেন৷ আনন্দ আশ্রম ছবিতেও উত্তমকুমার সাইকেলে চেপে রোগ সারাইয়ে ব্যস্ত থাকতেন৷
তবে এখনও এমনটা হচ্ছে৷
সাইকেলে চেপে না হলেও বস্তিতে গিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় চেম্বার খুলে বসবেন চিকিৎসকরা৷ প্রত্যেকেই পুরসভার চিকিৎসক৷ রোগীরা আবার নিখরচায় ওষুধও পাবেন৷ মোদ্দা কথা, বাড়ির দরজায় পৌঁছে যাবে পুরসভার চিকিৎসা-ইউনিট৷ রোগী ধরতে ছুটবেন চিকিৎসকরা৷
কলকাতা পুরসভায় কাজের চাপে এমনটা করতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসকেরা৷ আসলে জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় সব ওয়ার্ডকে আনতে তৎপর পুরসভা৷ সেই মিশনের ক্ষেত্রে ওয়ার্ডকে আনতে আরবান প্রাইমারি হেল্থ সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে৷ এরকম একটি সেন্টার গড়ে তুলতে মিশনের আওতায় ওয়ার্ড পিছু দশ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে৷ পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ আরবান হেল্থ সেন্টারের জন্য একজন চিকিৎসক, একজন ফার্মাসিস্ট, নার্স থাকা বাধ্যতামূলক৷ সেখানে নিখরচায় ওষুধ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে৷ ওষুধের টাকাও দেবে মিশন৷
ঠিক এই কারণেই রোগী দেখার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে পুরসভা৷ চিকিৎসকদের শুধুমাত্র ওয়ার্ড স্বাস্থ্য অফিসে বসে না থেকে কাউন্সিলরের সঙ্গে পরামর্শ করে ওয়ার্ডের বিভিন্ন অংশে যেতে হবে৷ এ ব্যাপারে বোরো অফিসগুলিতে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে৷ সপ্তাহে দু’-তিনদিন যেতে হবে ‘আউটডোরে’৷ কোথায় চিকিৎসককে যেতে হবে, তা ঠিক করবেন কাউন্সিলররা৷ কোনও ক্লাব বা স্কুলঘরে বসতে পারেন চিকিৎসকরা৷ তবে কোথায় কবে তাঁরা বসবেন, তা আগে থেকে ওয়ার্ড অফিসে জানানো হবে৷ সেই অর্থে এটি ‘মোবাইল স্বাস্থ্য পরিষেবা’ বলেই মনে করা হচ্ছে৷
এভাবে বাড়ির দরজায় চিকিৎসক ও গোটা ইউনিট পৌঁছে যাওয়ায় রোগীরা চিকিৎসার সুযোগ নিতে গড়িমসি করবেন না বলেই মত পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের৷ আগে ওয়ার্ড হেল্থ অফিসে বসে থাকতেন চিকিৎসকরা৷ মেরেকেটে দশ-বারোজন বা খুব বেশি হলে কুড়িজন রোগী আসতেন৷ আগে পুরসভার চিকিৎসকদের ধরাই হতো ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর চিকিৎসাই শুধু করবেন৷ বদলে গিয়েছে সেই ধারাও৷
এখন পুরসভায় সবমিলিয়ে প্রায় ২০০ চিকিৎসক রয়েছেন৷ তবে চিকিৎসকদের খামতি মেটাতে আরও নিয়োগ করতে হবে৷ মিশনের প্রস্তাবে প্রতি ৫০ হাজার মানুষের জন্য একটি আরবান প্রাইমারি হেল্থ সেন্টার গড়া হবে৷ কলকাতা পুরসভায় মোট ৩০টি কেন্দ্র গড়ে উঠেছে৷ আরও ৫০টি কেন্দ্র গড়তে টেন্ডার ডাকা হয়েছে৷ প্রত্যেকটি ওয়ার্ডকেই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় এনে আরবান সেন্টার গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে পুরসভা৷ উল্লেখ্য, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনে কেন্দ্র ও রাজ্যের খরচের নির্দিষ্ট অনুপাত রয়েছে৷ কেন্দ্র তিনভাগ খরচ বহন করলে রাজ্য দেবে একভাগ৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement