Advertisement
Advertisement
Durga Puja 2023

Durga Puja 2023: আঁধার সরিয়ে আলোর আরাধনা, বরানগরে দেবীর চক্ষুদান করবে দৃষ্টিহীন শিশুরা

মণ্ডপ সেজে উঠেছে মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুদের ভাবনায়।

Durga Puja 2023: Visually impaired children to perform Chakshudan at Baranagar | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 14, 2023 2:35 pm
  • Updated:October 14, 2023 2:35 pm

অর্ণব দাস, বারাকপুর: ওদের কেউ জন্মাবধি দুগ্গা ঠাকুরের মুখ দেখেনি। কেউ বা চোখে দেখলেও অন্তরে গেঁথে নিতে পারেনি উমার মমতাভরা দৃষ্টি। কিন্তু ওরা জানে, ফি-বছর মর্ত‌্যধামে চার-পাঁচটা দিন মানুষ অনাবিল আনন্দে মেতে ওঠে। তাদের সঙ্গে মেতে ওঠে ওরাও। ওরা নামে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু-কিশোররা। মা দুর্গাকে (Durga) তারা কেমন দেখে, কীভাবেই বা অনুভব করে, তাদের সেই অন্তর্দৃষ্টির উপর ভিত্তি করেই এবার গড়ে উঠছে বরানগর (Baranagar) টবিন রোডের হাসিখুশি ক্লাবের এবারের পুজোর থিম। থিমেও যেমন থাকছে অভিনবত্বের ছোঁয়া, তেমনই প্রতিমাতেও থাকছে চমক। উঁহু! প্রতিমার শৈলীতে নয়, ক্লাবের দ্বিতীয় বর্ষের পুজোয় প্রতিমার চক্ষুদান করবে দৃষ্টিহীন (Blind) শিশুরা। ক্লাবের এহেন মহতী উদ্যোগকে স্বভাবতই সাধুবাদ জানিয়েছেন শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী।

Advertisement

বরানগর হাসিখুশি ক্লাবের পুজোর বয়স মাত্র একবছর। সামাজিক বার্তা দিতে গতবছর শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো (Durga Puja)। সারা বছরই ক্লাবের তরফে দুস্থ বাচ্চাদের জন্য একাধিক সহায়তামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। বেশ কয়েকবছর ধরেই তারা একাজ করে আসছে। সংগঠনের তরফে ৪৫ জন দুস্থ বাচ্চাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে। তাদের পুজোয় নতুন জামাকাপড় দেওয়া থেকে পুজো পরিক্রমা করানো সবই করেন ক্লাব কর্তারা। প্রথম বছরের উমা বন্দনায় থিম ছিল ফুটপাতের নবদুর্গা। পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণির মোট ৯ জন মেয়েকে এই ‘হাসিখুশি’ ক্লাবের তরফে সহায়তা করা হয়েছিল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্দুক কাঁধে বাচ্চা সামলাচ্ছে হামাস! প্রকাশ্যে বন্দি ইজরায়েলি শিশুদের ভিডিও]

পাশাপাশি এই মেয়েরাই পুজোর দিনগুলিতে দায়িত্ব নেওয়ার পাশাপাশি জমিয়ে আনন্দ করেছিল। দ্বিতীয়বারও থিমভাবনায় সামাজিকতার বার্তা দিয়ে নজির গড়ল এই ক্লাব। দ্বিতীয় বছরের পুজোর তত্ত্বাবধান করছে দৃষ্টিহীন এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (Specially abled children)শিশুরা। ক্লাবের তরফে চারজন দৃষ্টিহীন এবং ছ’জন মানসিক ভারসাম্যহীন শিশুকে মণ্ডপ ভাবনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের ভাবনাতেই ফুটে উঠছে মণ্ডপের বহিরঙ্গ থেকে অন্দরসজ্জা। মায়ের চক্ষুদানও করবে দৃষ্টিহীন শিশুরা। মণ্ডপে সাবেকি সাজের মা দুর্গা আসছে মহালয়ার দিন। তারপরই হবে চক্ষুদান।

[আরও পড়ুন: ইজরায়েলের হয়ে হামাস নিধনে মণিপুরের যোদ্ধারা!]

পাশাপাশি ক্লাবের তরফে অন্যান্য পুজোগুলিতেও পরিক্রমা করানো হবে এই বিশেষ শিশুদের। হাসিখুশি ক্লাবের অন্যতম প্রধান কর্মকর্তা সুমন কর বলেন, ‘‘কলকাতার শ্যামবাজারের সংগঠন ‘সংবেদন’ এই বিশেষ শিশুদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়েছে। প্রায় প্রতিদিন এই ১০ জন বিশেষ শিশু মণ্ডপে আসছে, তাদের ভাবনা আমাদের জানাচ্ছে। সেই মতোই জোরকদমে চলছে মণ্ডপের কাজ।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ