চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়: বাতাসে পুজো পুজো গন্ধ তবে ভালো করে জামা-কাপড় কেনাই হয়নি অনেকের। এর মধ্যেই আসানসোলে মা দুর্গা আসেন, পূজিতা হন আবার চলেও যান। তিথি অনুযায়ী মহালয়ার পরের দিন শুরু হয়ে যায় হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামের আগমনী দুর্গাপুজো। অভিনব এই দুর্গাপুজো দেখা যায় একমাত্র আসানসোলেই। প্রতিপদে মা দুর্গা আসেন, আর দ্বিতীয়াতেই চলে যান।
[মহাষ্টমীতে অপমৃত্যুর আতঙ্ক, পুজো ‘নিষিদ্ধ’ বাংলার এই গ্রামে]
আসানসোলের কালীকৃষ্ণ আশ্রমের এই পুজোর আনন্দ যেন আসতে আসতেই শেষ। মঙ্গলবার আমাবস্যা তিথিতে শুরু হয় কালী পুজো। বুধবার ভোরে সপ্তমী আবার বুধবার বিকেলেই দশমীর পুজো। একদিনের এই অভিনব দুর্গাপুজো দেখতে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন আসানসোলের ধেনুয়া গ্রামে। দামোদরের তীরে হীরাপুরে রয়েছে এই সাজানো জনপদ। সেখানেই রয়েছে ছোট্ট কালীকৃষ্ণ আশ্রম। আমাবস্যা তিথিতে অর্থ্যাৎ, মঙ্গলবার রাতে মন্দিরে প্রথমে শুরু হয় কালী পুজো। সারারাত ধরে কালী পুজোর পর বুধবার ভোর থেকে শুরু হয় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি। ঢাক কাঁসার ঘন্টা বাজিয়ে ভোরে আনা হয় জল। তারপর হয় কলা বউ প্রতিষ্ঠা। ওইদিন বিকেলের মধ্যেই পুজো শেষ হয়ে বারি বিসর্জন অর্থ্যাৎ বুধবারেই সব শেষ।
[পুজোয় শান্তি নামক ধরায় নিয়ে যাবে খিদিরপুরের পল্লি শারদীয়া]
কালীকৃষ্ণ আশ্রমের সেবাইত জ্যোতিন মহারাজ মারা যাওয়ার পর কৃষ্ণচন্দ্র ধীবর এখন দেখাশোনা করেন। তিনি জানান, ১৯৩০ সাল থেকে পুজো হয়ে আসছে আগমনী দুর্গার। দশভুজা দেবী এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুর থাকেন না। এমনকী প্রতিমার সঙ্গে থাকেন না মায়ের সন্তানরা। এখানে দুর্গার সঙ্গী দুই সখী জয়া ও বিজয়া। ওই আশ্রমের গুরুদেব স্বামী দয়ানন্দ মহারাজ স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর শুরু করেছিলেন। তখন থেকেই এই পরম্পরা চলে আসছে। প্রথমদিকে মায়ের রূপ ছিল অগ্নিবর্ণা, পরে শ্বেতশুভ্র বর্তমানে বাসন্তী রঙের। শুধু বর্ণের বৈচিত্র্য নয়, কয়েক ঘণ্টার জন্য এই দেবীকে তিনি কৌতুহলের শেষ নেই আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.