দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: দু’দিন পেরিয়েছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে নৈহাটির বিস্ফোরণের কথা ভেবে এখনও আঁতকে উঠছেন বছর সত্তরের বিশ্বনাথ বন্দোপাধ্যায়। চোখের সামনে বারবার ভেসে উঠছে ঘরময় রক্তের ছবি। প্রাণ রয়েছে এখনও তা বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, শীঘ্রই সেরে উঠবেন বিশ্বনাথবাবু।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। অবসর নেওয়ার পর শেষ জীবনটা গঙ্গার পারে কাটাবেন বলে চুঁচুড়ার জোড়াঘাটের কাছে একটি ফ্ল্যাট কেনেন তিনি। কিন্তু গঙ্গার পারে যে এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হবে তা কে জানত। বিশ্বনাথবাবুর কথায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর জানালার পাশে বসে গঙ্গা দেখছিলেন তিনি। সেই সময়ই আচমকা তীব্র শব্দ শুনতে পান। আওয়াজে কার্যত কেঁপে ওঠে তাঁর বাড়ি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি টের পান গোড়ালির উপর কিছু একটা পড়েছে। নিচে তাকাতেই দেখেন জানলার কাঁচ এসে সজোরে আছড়ে পড়েছে পায়ে। সারা মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। স্ত্রীকে ডাকতেই অন্যান্য আবাসিকদের সহযোগিতায় ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, তাঁর গোড়ালিতে মোট ৯ টি সেলাই পড়েছে। তবে আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন তিনি। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে কাটছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বিশ্বনাথবাবু প্রার্থনা করে চলেছেন বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের জন্য। তাঁর প্রার্থনা এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় সময় বিস্ফোরণ ঘটে নৈহাটিতে। সেই সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গঙ্গার দু’পাড়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় দু’দিকে বহু বাড়ি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.