দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: ঢোল নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় নবজাতকদের নাচানোর কাজ করেন ওঁনারা৷ বিনিময়ে অভিভাবকদের থেকে পান কিছু অর্থ। মাঝে মধ্যেই হাততালি দিয়ে ট্রেন-বাসে ওঁনাদের দেখা যায়। তবে এবার আরও একটি অন্য ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁদের। এবার নির্বাচন কমিশনের হয়ে সচেতনতা প্রচারে নামতে চলেছেন তৃতীয় লিঙ্গের এই সমস্ত মানুষেরা৷
[ আরও পড়ুন: তফসিলি সমর্থকের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ প্রার্থীর, ফলাও ‘প্রচারে’ বিপাকে সিপিএম ]
দেশজুড়ে বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের দামামা। এবারের ভোটে নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করতে চাইছে, যাতে একজন ভোটারও ভোটদানে বিরত না থাকেন। সেকারণে নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচারও চালাচ্ছে কমিশন। জানা গিয়েছে, এবার সেই লক্ষ্যেই এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কাজে লাগাতে চাইছেন নির্বাচন কমিশন। যেকারণে শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের গোবিন্দনগর এলাকায় একটি তৃতীয় লিঙ্গের কলোনিতে যান বিডিও দেবব্রত পাল ও নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। প্রতিটি তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ও তাঁদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা৷ প্রত্যেক তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদের ভিভিপ্যাডের মাধ্যমে ভোটদানের পদ্ধতি দেখান কমিশনের সদস্যরা।
কমিশন সূত্রে খবর, যেহেতু কাজের সূত্রে বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন এই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। বিভিন্ন মানুষের মধ্যে তাঁদের যথেষ্ট প্রভাবও রয়েছে। তাই এবার এই অংশের মানুষদেরই সচেতনতা প্রচারে কাজে লাগাতে চাইছে নির্বাচন কমিশন৷ এবার এই সমস্ত মানুষরাও অন্যান্যদের ভিভিপ্যাডের সুবিধা বোঝাবেন৷ এবং বোঝাবেন এই পদ্ধতিতে কীভাবে নির্বাচনে কারচুপি বন্ধ করা যায়।
[ আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে এবার পথে নামলেন ভোটকর্মীদের পরিজনরা ]
এবিষয়ে তৃতীয় লিঙ্গের এক ভোটার ঝর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের অনেকেই সারা দিন পাড়ায়-পাড়ায় ঘুরে বেড়ায়। সেখানে দিয়ে আমরা মানুষকে বোঝাবো কীভাবে ভিভিপ্যাডের সাহায্যে ভোট দিতে হবে। আমরা অনেকে ভোট দিতে যাই না৷ ভয় পাই। আগে ছাপ দিয়ে ভোট দিয়েছি আমরা। এখন মেশিন হওয়ায় ব্যবস্থা অনেক উন্নত হয়েছে। তাই, এবার আমরাও ভোট দেব এবং সকলকে ভোট দিতে উৎসাহ দেব।’’ এবিষয়ে বিডিও বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য সমাজের বিভিন্ন অংশের ভোটারদের সচেতন করা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় মাঠে গিয়ে গ্রামের মানুষদের সচেতন করছি। অন্ধ মানুষদের সচেতন করছি।