দীপঙ্কর মণ্ডল: স্বাধীনতার পর এ দেশে এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি। লোকসভা নির্বাচনে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার দাবিতে এবার পথে নামলেন তাঁদের পরিবারের লোকেরাও। প্ল্যাকার্ড হাতে আন্দোলনে শামিল শিশুরাও।
[ আরও পড়ুন: পরীক্ষা চলাকালীন কলেজে ঢুকে প্রচার, বারাসতে বিতর্কে তৃণমূল]
গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারে মারা গিয়েছিলেন একজন প্রিসাইডিং অফিসার। ভোটগ্রহণের পরের দিনে রায়গঞ্জ স্টেশনের কাছে রেললাইন থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। লোকসভা ভোটে আতঙ্ক গ্রাস করেছে জেলার ভোটকর্মীদের। উত্তর দিনাজপুরের প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তুলেছেন তাঁরা। গত মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে প্রশিক্ষণ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা। বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ভোটে বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে। তাতে আতঙ্ক আরও বেড়েছে। শনিবার প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তার দাবিতে পথে নামলেন ভোটকর্মীদের পরিবারের লোকেরাও। রায়গঞ্জের রাস্তায় মানববন্ধন করলেন তাঁরা। এমনকী, বাড়ির বড়দের সঙ্গে প্ল্যাকার্ড হাতে দেখা গেল শিশুদেরও। তবে শুধু রায়গঞ্জেই নয়, এদিন নিরাপত্তার দাবিতে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে বিক্ষোভ দেখান ভোটকর্মীরা।
এবার রাজ্যে সাত দফায় হচ্ছে লোকসভা ভোট। গত বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় ভোট হয়েছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে। দ্বিতীয় দফায় ভোট আগামী বৃহস্পতিবার। ভোট হবে জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ও দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে।