Advertisement
Advertisement
Elephant

তীব্র খাদ্যসংকট, রেশন দোকানে ঢুকে বস্তা থেকে আটা খেয়ে ফেলল গজরাজ!

এর আগে শ্রমিক আবাসনে ঢুকে চালও খেয়ে গিয়েছিল দুটি হাতি।

Elephant entered in shop, ate wheat flour amidst food shortage | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 1, 2022 12:42 pm
  • Updated:July 1, 2022 12:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রেশন দোকানের দরজা ভেঙে ঢুকে মজুত রাখা আটা একেবারে চেটেপুটে সাফ করে দিল হাতি! এমনই ঘটনা ঘটেছে ডুয়ার্সের (Dooars) মোগলকাটা চা বাগান সংলগ্ন রেশন দোকানে। বস্তাভরতি আটা পুরোটাই গজরাজের পেটে! শুধু আটাই নয়, গত কয়েকদিনে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় হাতি হানা দিয়ে মূলত খাদ্যদ্রব্যই খুঁজে খুঁজে সাবাড় করেছে। কখনও মেটেলি ব্লকের ইনডং চা বাগান, কখনও আবার রেড ব্যাংকে, খাবারের খোঁজে বারবার হানা দিচ্ছে হস্তীকুল।

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার একটি হাতি (Elephant) মোগলকাটা চা বাগানে লাগোয়া এলাকায় ঢুকে পড়ে একটি হাতি। পটকা, আতসবাজি ফাটিয়ে তাকে ভয় দেখিয়ে জঙ্গলে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পরে আবার হাতিটা ফিরে আসে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রেশন দোকানের দরজা ভেঙে ঢুকে বস্তা থেকে আটা খেয়ে ফেলে। গোটা বস্তা শেষ করার পর বস্তা ফেলে রেখে চলে যায় হাতিটি। হাতির এহেন কাণ্ড দেখে আতঙ্ক পাশাপাশি মজাও পেয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দ্রৌপদী ও যশবন্ত ছাড়া রাষ্ট্রপতি পদের সমস্ত মনোনয়ন বাতিল! জানেন কেন?]

বুধবার রাতে একটি হাতি ঢুকে পড়েছিল মেটেলির ইনডং চা বাগানে। খাবারের খোঁজে হাতিটি বাগানের একটি দোকানে হামলা চালায়। দোকানের দেওয়াল ভেঙে খাবার খেয়ে ফেলেছে বলে জানান দোকান মালিক। একই ছবি বানারহাটের রেডব্যাংক চা বাগানেরও। ত্রাণ হিসেবে পাওয়া চালও সাবাড় করে দুই দাঁতাল। শুধু তাই নয়, তাণ্ডব চালিয়ে ধূলোয় মিশিয়ে দিয়েছে দুটি শ্রমিক আবাস। সেখানে সংগীতা ওরাওঁ ও দুর্গি ওরাওঁ নামে দুই শ্রমিকের বাড়ি ভেঙে ভিতরে ঢুকে মজুত থাকা চাল, আটা-সহ যাবতীয় আনাজপাতি খেয়ে হাতি দুটি এলাকা ছাড়ে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: উপনির্বাচনেও কেন বাংলায় তৃতীয় স্থানে বিজেপি? জবাব চান শাহ-নাড্ডা]

হাতির এহেন তাণ্ডবে আতঙ্কের চেয়ে বড় বিপদ দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অজিত সাবাড় বলেন, ”একেতেই বাগান বন্ধ এখন। আয়ের কোনও উৎস নেই। ১০০ দিনের কাজের টাকাও দীর্ঘদিন ধরে অমিল। এমন দুঃসহ পরিস্থিতিতে বিনামূল্যে রেশনের চালই বেঁচে থাকার ভরসা। সেটাও এখন হাতির পেটে যাচ্ছে।” বনদপ্তরের ডায়না রেঞ্জের রেঞ্জার প্রণব দাস জানান, ”ক্ষতিগ্রস্তরা আবেদন করলে নিয়ম মোতাবেক ক্ষতিপূরণ পাবেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ