ব্রতীন দাস, শিলিগুড়ি: হাতির পিঠে চড়েছেন অনেকেই। তবে তা মূলত ডুয়ার্সে। এবার খাস শিলিগুড়িতে মিলছে এমন সুযোগ। উত্তরবঙ্গের এই গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে বেঙ্গল সাফারি পার্কে হাতি সাফারি শুরু হল। সোমবার ছিল সাফারির প্রথম দিন। রাজ্যের দুই মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ ও গৌতম দেব সাফারিতে যোগ দেন। উপস্থিত ছিলেন পর্যটন দপ্তরের ও বন দপ্তরের আধিকারিকরা।
হাতি সাফারির ব্যবস্থা রয়েইছে ডুয়ার্সে। গরুমারা ও জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে হাতি সাফারির ব্যবস্থা করা হত পর্যটকদের জন্য। তবে অধিকাংশ পর্যটকই সেখানে সাফারির সুযোগ পেতেন না। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও হতাশ হতে হত তাঁদের।
[মহাষষ্ঠীর আনন্দে জল ঢালতে পারে ঘূর্ণাবর্ত ‘অসুর’]
গ্যাংটক, কালিম্পং, ডুয়ার্স যাওয়ার রাস্তায় গড়ে উঠেছে হাতি সাফারি। সেবকের আগে শালুগাড়া বাজার ছাড়িয়ে গড়ে উঠেছে বেঙ্গল সাফারি পার্ক। যারা শিলিগুড়িতে কিছুদিনের জন্যও থাকেন, তাদের কাছে এ এক সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করছে পর্যটন দপ্তর। হাতি সাফারির জন্য আপাতত দুটি হাতি নিয়ে আসা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে আনা হয়েছে উর্মিলা নামের হাতিটিকে। অন্য হাতি লক্ষ্মী এসেছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে।
পর্যটন দপ্তর সূত্রে খবর, প্রতিদিন মোট ৬টি ট্রিপে এই হাতি সাফারি করানো হবে। সকালে ৩টি ও বিকেলে ৩টি ট্রিপে পর্যটকরা হাতি সাফারি করতে পারবেন। এক একটি ট্রিপে চারজন করে পর্যটক উঠতে পারবেন। মাথাপিছু দাম ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। যেখানে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে মাথাপিছু ভাড়া লাগে ৮০০ টাকা।
[ফের একবার শহরের মাথা উঁচু করল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল]
বনমন্ত্রী বিনয় বর্মণ জানান, আপাতত দুটি হাতি দিয়ে শুরু করা হয়েছে, পরে আরও দুটি হাতি আনা হবে। কর্ণাটক থেকে আনা হবে কুনকি হাতি। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই চালু করা হবে লেপার্ড সাফারি। নিয়ে আসা হবে চারটি সাদা ময়ূর, আরও দুটি বাঘ, হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার, গণ্ডার, ঘড়িয়াল, বিদেশি পাখি। প্রসঙ্গত, মহানন্দা অভয়ারণ্য ও বৈকুন্ঠপুর অভয়ারণ্যকে যুক্ত করছে এই পার্কটি। পর্যটকরা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এই পার্কে আসতে পারবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.