অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: কর্মী বিক্ষোভে বেঙ্গল সাফারি পার্কে (Bengal Safari Park) তুমুল হইচই। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। তার জেরে কার্যত নাজেহাল হতে হল পর্যটকদের। পার্কে ঢুকতে না পারায় ফিরে যান তাঁরা।
২০১৫ সালে শিলিগুড়ির অদূরে তৈরি হয়েছিল বেঙ্গল সাফারি পার্ক। মাত্র কয়েকদিনে তার জনপ্রিয়তা প্রায় আকাশচুম্বী। দার্জিলিংয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা বেঙ্গল সাফারি পার্কে যাবেন না, তা হতে পারে না। পার্কের বিভিন্ন খাতে কাজের জন্য নিযুক্ত প্রায় ১৫০ জনেরও বেশি কর্মী। তার মধ্যে বেশিরভাগ কর্মীই একেবারে প্রথম থেকে কাজ করছেন। ওই কর্মীদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই আলাদা আলাদা কাজ করতে হচ্ছে। যে কাজ রোজ করার কথা, সেগুলি করতে দেওয়া হচ্ছে না। তার ফলে কাজের মানও কমছে।
সেই কারণেই বেঁকে বসে কর্মীরা। বুধবার সকাল থেকে পরিষেবা বন্ধ রেখে পার্কের মূল গেট আটকে অবস্থান বিক্ষোভ করে তারা। পার্কের মূল দরজার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বিক্ষোভরত এক কর্মী বলেন, “২০১৫ সাল থেকে আমরা এখানে কাজ করছি। এতদিন যত আধিকারিক এসেছেন কেউ কাজের জায়গা পরিবর্তন করেননি। কিন্তু নতুন ডিরেক্টর আসার পর থেকে আমাদের জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে। যেখানে ইচ্ছা সেখানে কাজে পাঠানো হচ্ছে। তাতে আমাদের কাজের মান কমে যাচ্ছে।” সে কারণে পার্কের আধিকারিকের বদলির দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। হয়রানির শিকার হন পার্কে আসা পর্যটকরা। এদিন বেঙ্গল সাফারি পার্কে রাজস্থান, দিল্লি-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকেরা আসেন। আগে থেকেই তাঁদের টিকিট বুক করা ছিল। কিন্তু বিক্ষোভের জেরে তাঁরা পার্কে প্রবেশ না করতে পেরে ফিরে যান।
অন্যদিকে, পার্কের ডিরেক্টর দাওয়া এস শেরপা বলেন, “যাঁরা দীর্ঘদিন এক কাজ করেছেন, তাঁদের তো নতুন কাজ শিখতে হবে। এটা একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে হয়েছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পার্কও খোলা রয়েছে। কর্মীরা কাজে যোগ দিয়েছেন। যে সমস্ত পর্যটকেরা ফিরে গিয়েছেন তাঁদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.