Advertisement
Advertisement

Breaking News

West Bengal

বাম আমলের বন্ধ কারখানা ফের খুলছে বাংলায়

পঞ্চাশ বিঘা জমিতে হবে নতুন ঘি-পনিরের কারখানা।

Factory closed during left front rule to reinvest in Bengal | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:September 16, 2022 1:58 pm
  • Updated:September 16, 2022 1:58 pm

অভিরূপ দাস: বাম আমলে পাততাড়ি গুটিয়েছিল। ফের ফিরে আসছে বাংলায়। অন্নপূর্ণা গ্রুপ। এফএমসিজি গ্রুপের মধ্যে এক অন‌্যতম নাম। উত্তর-পূর্ব ভারতে যাঁদের ঘি, পনির, ঠান্ডা পানীয়র বিক্রি আকাশ ছোঁয়া। বাৎসরিক টার্নওভার তিনশো কোটি টাকা।

কোথায় হবে কারখানা? বঙ্গের হুগলি (Hooghly) কিম্বা বর্ধমান তাদের প্রথম পছন্দ। অন্নপূর্ণা গ্রুপের ম‌্যানেজিং ডিরেক্টর সুবীর ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ‌্য সরকারের সঙ্গে তাঁরা দ্রুত আলোচনায় বসবেন। ২০২৪ সালের মধ্যেই কারখানা খুলতে চান তাঁরা। বাংলার ম‌্যানুফ‌্যাকচারিং ইউনিটে তৈরি হবে ঘি, ক্রিম, মাখন। এই মুহূর্তে সংস্থার পাঁচটি কারখানার চারটে গুয়াহাটি ও একটি উত্তরপ্রদেশে। বাংলার এই প্রথম খুলছে উৎপাদন কেন্দ্র। ঘি, ফলের রস, আচার প্রস্তুতকারক এই সংস্থা নিজেদেরকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষে নামছেন। তাদের ‘রেডি টু কুক’ পণ‌্য ২০২৩ সাল থেকে রপ্তানি শুরু হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের বাড়িতে সিবিআই হানা, আজই কেষ্টকন্যাকে জেরার সম্ভাবনা]

এই মুহূর্তে উত্তর-পূর্ব ভারতের জাঁদরেল ব‌্যবসায়ী হলেও, প্রথম অন্নপূর্ণা গ্রুপ পথচলা শুরু করেছিল বাংলাতেই। সাতের দশকে হাওড়ার কদমতলায় কারখানা শুরু করেছিলেন ম‌্যানেজিং ডিরেক্টর সুবীর ঘোষের বাবা প্রয়াত গৌরাঙ্গ ঘোষ। পরে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশনের কাছে চলে আসে সে কারখানা। ১৯৯৮ সালে নানা কারণে বন্ধ হয়ে যায় তা। বাংলায় শিল্পোবান্ধব পরিবেশের দিকে তাকিয়ে এবার নতুন করে কারখানা খুলতে উদ্যোগী বর্তমান ম‌্যানেজিং ডিরেক্টর সুবীর ঘোষ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, নতুন কারখানা খুলতে লাগবে ৫০ বিঘা জমি। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসবেন তাঁরা। প্রায় সত্তর কোটি টাকা ব‌্যয়ে তৈরি হবে এই কারখানা। সরাসরি দুশোজন লোকের কর্মসংস্থান হবে সেখানে। এই মুহূর্তে সংস্থার বাৎসরিক টার্নওভার ৩০০ কোটি টাকা। সংস্থার বাৎসরিক টার্নওভারের ত্রিশ শতাংশই হয় উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে। এবার বাংলা, বিহার, ওড়িষ‌্যা ছাড়াও দক্ষিণ ভারতের দিকেও বিশেষ নজর দিতে চায় সংস্থা। সংস্থার দাবি, বাংলায় ঘি, পনিরের বিপুল ক্রেতা রয়েছে। করোনা (Corona) আবহেও তাদের সংস্থার লোকসান তো দূর, লাভের মুখ দেখেছে বছর বছর। সেদিকে নজর রেখেই বাংলায় নতুন কারখানা খুলতে উদগ্রীব সংস্থা। কোভিড আবহে আয়ুর্বেদিক পণ্যের চাহিদা বেড়েছে বিপুল। সেদিকে তাকিয়ে হলুদ, লবঙ্গ, তুলসীর মতো আয়ুর্বেদ উপাদান সমৃদ্ধ কিছু পণ‌্য বাজারে আনতে চলেছে সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন: খিদের তাগিদে ওপার বাংলা থেকে ভারতে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, হু হু করে সুন্দরবনে বাড়ছে বাঘের সংখ্যা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ