নন্দন দত্ত, সিউড়ি: সরকারি বাস ডিপোতে ধরা পড়ল নকল বাস কন্ডাক্টর। গত দুদিন ধরেই দূরপাল্লার সরকারি বাস থেকে নকল টিকিট দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করছিল এক যুবক। এমনই অভিযোগ উঠেছে। ভাড়া নিয়ে টিকিট দিয়ে সময়মতো নেমেও যাচ্ছিল সে। অভিযোগ, গত শুক্রবারও বহরমপুর থেকে আসানসোলগামী একটি সরকারি বাসের যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায় করে সে। বাস ছাড়ার আগে টুক করে নেমে যায়। ঘটনাটি বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ির সরকারি বাস ডিপো।
উল্লেখ্য, দূরপাল্লার বাসগুলি সিউড়ির সরকারি বাস ডিপোতে এসে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়ায়। সেই সুযোগেরই সদ্ব্যবহার করছিল ওই যুবক। শনিবার সকাল নটা নাগাদ বহরমপুরগামী দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের বাসটি সিউড়ি ডিপোতে দাঁড়িয়েছিল। দুর্গাপুর থেকে আসা ওই বাসটিতে উটে ফের একইভাবে টিকিট দিয়ে টাকা আদায় করছিল। যাত্রীদের বেসরকারি বাসের টিকিট দিয়ে টাকা নিয়ে নেমে যাওয়ার সময় তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন ডিপোর কর্মীরা। বেশ কয়েকদিন ধরে টাকা না পাওয়ায় তক্কে তক্কে ছিল সিউড়ি বাস ডিপোর কর্মীরা। অভিযুক্ত যুবক টাকা আদায় করে নেমে যাওয়ার পথে তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। অভিযুক্তের কাছ থেকে নকল টিকিটগুলি উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছে নকল টিকিট বিক্রি বাবদ যে টাকা ছিল তাও উদ্ধার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের এসটিসি মলয় রায়চৌধুরি বলেন, আমরা বেশ কিছুদিন ধরেই নকল টিকিট বিক্রির অভিযোগ পাচ্ছিলাম। আজ হাতেনাতে ধরি। সিউড়ির থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি অভিযুক্তকে। এদিকে ধরা পড়ার পর বছর পঁচিশের ওই যুবক তার পরিচয় লুকিয়ে যায়। কখনও নিজেকে রাম বাগদী, কখনও বা রমশান শেখ বলে পরিচয় দেয়। পুলিশের ধারণা ধৃত যুবক নেশাগ্রস্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতেই এইভাবে নকল টিকিট বিক্রি করছিল। তাকে সিউড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এনিয়ে বাসযাত্রী আশিস দে বলেন, ‘মুর্শিদাবাদের কান্দিতে যাব। বাসে ওঠার পর ওই যুবকের থেকেই টিকিট নিলাম। আমরা এভাবে নকল কন্ডাক্টরের হাতে পয়সা দিয়ে সুবিধা পাচ্ছিলাম বটে। কারণ ১৫০ টাকা যে টিকিটের দাম, সেই টিকিট ১০০ টাকা দিয়ে কাটছিলাম। টাকা কম লাগায় ভালই লাগছিল। তবে ডিপোর কর্মীরা এসে টিকিট কাটার কথা বলতেই নিরাপত্তাহীনতা ভুগছিলাম। একবার টিকিট কাটার পর কেন আর একবার কাটব, তা নিয়ে সংশয়ও তৈরি হচ্ছিল। তবে ওই যুবক যে টাকা নিয়ে বেসরকারি বাসের নকল টিকিট দিচ্ছিল, তা বুঝতে পারিনি।’
ছবি- বাসুদেব ঘোষ
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.