প্রতীকী ছবি
সৈকত মাইতি, তমলুক: ওড়িশার ডাক্তারের নাম এবং ডিগ্রি ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা করছিলেন নন্দীগ্রামের যুবক। শেষরক্ষা হল না। সত্য সামনে আসতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে নন্দকুমার থানার পুলিশ। রবিবার ধৃতকে তমলুক আদালতে তোলা হয়েছে। তাঁকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বিষয়টি জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম চন্দন দাস। নন্দীগ্রামের শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা তিনি। গ্রামের স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর দূরশিক্ষার মাধ্যমে স্নাতক স্তরের পঠন-পাঠন শুরু করেছিলেন। এরপরই রাতারাতি ডাক্তার হয়ে যান তিনি। মেদিনীপুর জেলার খেজুরি, হেড়িয়া, ভগবানপুর, চণ্ডিপুর, নন্দকুমার ও বাজকুল-সহ প্রত্যন্ত গ্রামের নানান জায়গায় চিকিৎসা করতে শুরু করেন। এমন অবস্থায় অসুস্থ বাবাকে নিয়ে চন্দনের কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়ে বেশ খানিকটা বেকায়দায় পড়েন খেজুরির এক ব্যক্তি। অভিযোগ ওঠে ‘ভুয়ো’ ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয় খেজুরির ওই বাসিন্দার। এরপরই চন্দনকে নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। তাতেই প্রকাশ্যে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা করতেন ওই যুবক।
এরপরই নন্দকুমারের নরঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে নন্দীগ্রামের ওই ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ বিষয়ে নন্দকুমার থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক উজ্জ্বল লস্কর জানান, ওড়িশার একজন ডাক্তারের নাম, পরিচয় ও ডিগ্রি ব্যবহার করে ধৃত যুবক চিকিৎসা করতেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে রাখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.