Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রবল ঠান্ডায় বাক্সবন্দি মৌমাছি, চিনি দিয়ে মৃত্যু রোখার চেষ্টা

প্রবল শীতে সংকটে মৌপালকরা।

Falling mercury hits bee farming in Malda
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 5, 2018 6:14 am
  • Updated:January 5, 2018 6:14 am

বাবুল হক, মালদহ : উত্তুরে হাওয়ায় উত্তরেও বেড়েছে ঠান্ডার দাপট। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা। আর তাতেই কাবু মৌমাছি। শীত থেকে বাঁচতে নিজেদের বাক্সবন্দি করে রেখেছে পতঙ্গের দল। ফুলের রেণু থেকে খাদ্য ও মধু সংগ্রহ করতে বাইরে বেরচ্ছেই না। ফলে কার্যত অনাহারেই দিন কাটছে মৌমাছিদের। এমন অবস্থায় ৫০ টাকা কেজি দরে চিনি কিনে মৌমাছিদের খিদে মেটানোর চেষ্টা করছেন মৌপালকরা। কিন্তু, প্রতিকূল আবহাওয়ায় মারা যাচ্ছে অসংখ্য মৌমাছি। এদিকে, অতিরিক্ত চিনির জোগান দিতে গিয়ে লাভের আশা হারাচ্ছেন চাষিরা। মাত্র দিন সাতেকের শীতেই এবার মধুচাষে সংকট দেখা দিয়েছে মালদহে।

[‘মন্দ মেয়ে’ রটনায় অভিমানে আত্মঘাতী কিশোরী, ওন্দায় শোকের ছায়া]

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ওল্ড মালদহের সাহাপুর,  ইংলিশবাজার, হবিবপুর কিংবা কালিয়াচক—বৈষ্ণবনগর,  সর্বত্রই ক্ষতির আশঙ্কায় দিন গুনছেন মধুচাষিরা। ওল্ড মালদহ ও হরিশ্চন্দ্রপুরে সবচেয়ে বেশি মধুচাষ হয়। বৈজ্ঞানিক এপিকালচার পদ্ধতিতে জেলার চাষিরা মধুচাষ করে থাকেন। সরষে খেতের ধারে বড় বড় বাক্স রেখে মৌমাছি পালন করা হয়। তারপর চাষিরা মধু সংগ্রহ করেন। কিন্তু এবার প্রতিকূল আবহাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে মৌপালকদের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের সাদিপুর গ্রামের মধুচাষি মহম্মদ আসলাম শেখ জানালেন, একটি প্রতিপালন বাক্সে ৮—১০টি করে মৌচাক থাকে। প্রতিটি মৌচাকে ১০ হাজারের বেশি মৌমাছি থাকে। একটি বাক্সেই লক্ষাধিক মৌমাছি প্রতিপালন করা হয়।

Advertisement

[প্যান কার্ড কেন্দ্রর নামে ভাড়াবাড়িতে রমরমা মধুচক্রের আসর, ধৃত দুই মহিলা-সহ ৩]

সাদিপুরের পাশের জগন্নাথপুরের রাস্তার ধারে তাঁদের একশোটির বেশি বাক্স রয়েছে। শীতকালে সরষে চাষের মরশুমে মধুচাষ লাভজনক হয়।  কিন্তু এবার মাথায় হাত পড়েছে  মৌ পালকরা। মহম্মদ আসলাম বলেন,  “হঠাৎ ঠান্ডা পড়ে যাওয়ায় জবুথবু অবস্থা মৌমাছিদেরও। চারদিকে কুয়াশা। আকাশে ঝলমলে রোদ না পেলে মৌমাছিরা বাক্স থেকে বের হয় না। সেটাই হল এবার। বাক্সে বন্দি হয়ে থাকছে মৌমাছিগুলি। খাবার সংগ্রহ করতেও বের হচ্ছে না। অনাহারে প্রচুর সংখ্যক মৌমাছি মারা যাচ্ছে। আমরা বাজার থেকে চিনি কিনে খাওয়ানোর চেষ্টা করছি।” ওল্ড মালদহের মুচিয়া এলাকার মহাদেবপুরের এক মধুচাষি পলাশ রাজবংশী জানান, রোজ সকালে প্রতিটি বাক্সে ৫০০ গ্রাম করে চিনি দিতে হচ্ছে। ১০০টি বাক্সে ৫০ কেজি চিনি লাগে। খোলা বাজার থেকে চড়া দামে চিনি কেনা সম্ভব হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। ঝলমলে রোদের আশায় প্রার্থনা করা ছাড়া আর আমাদের উপায় নেই।”

[২০১৮-র ভাগ্যচক্রে এক নম্বরে তৃণমূল, বলছে পঞ্জিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ