Advertisement
Advertisement

Breaking News

South 24 Parganas

পাকা বাড়িতে বাস, তবু কুলপিতে আবাসে নাম পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলে-সহ ন’জনের!

এর জেরে প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম নেই ওই তালিকায়।

Family name of Trinamool Panchayat member in housing scheme list in Kulpi

পাকা বাড়ির ছবি।

Published by: Suhrid Das
  • Posted:December 7, 2024 7:35 pm
  • Updated:December 7, 2024 7:35 pm  

সুরজিৎ দেব, কুলপি: পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলের নাম রয়েছে তালিকায়। শুধু তাঁরই নয়। আবাস যোজনার তালিকায় ওই পঞ্চায়েত সদস্যার পরিবারের আরও আট জনের নাম রয়েছে। এই নিয়ে তুমুল শোরগোল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি বিধানসভার ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বরিকৌতলা গ্রামে। তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা মমতাজ বিবি মিস্ত্রির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ।

জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সদস্যার পরিবারে কারও একতলা পাকা বাড়ি। কারও আবার দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। সদস্যার ছেলে-সহ প্রত্যেকেরই পাকা বাড়ি রয়েছে। তার পরেও আবাস যোজনায় পাকা ছাদের বাড়ি প্রাপকদের তালিকায় তাঁদের সকলের নাম। অভিযোগ, কাঁচা বাড়িতে বাস করা অনেক ব্যক্তির নাম ওই তালিকায় নেই। যার জেরে প্রকৃত উপভোক্তাদের নাম নেই ওই তালিকায়। এই বিষয় নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

Advertisement

জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে বলে খবর। বিরোধী শিবির বিষয়টিকে হাতিয়ার করে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে। আইএসএফের জেলা সহ-সম্পাদক বাহাউদ্দিন মোল্লা হুঁশিয়ারি দেন, তালিকা থেকে অবিলম্বে ওইসব নাম বাদ দিতে হবে। নাহলে ব্লক অফিস ঘেরাও করা হবে। জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখুক। শুধু তালিকা থেকে নাম বাদ নয়। দুর্নীতির দায়ে ওই পঞ্চায়েত সদস্যাকে বরখাস্তও করতে হবে। এই দাবি তুলেছেন, বিজেপি নেতা কৃত্তিবাস সর্দার।

অভিযুক্ত ঢোলা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা মমতাজ বিবি মিস্ত্রি ও তাঁর স্বামী মইমূল মিস্ত্রি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। দাবি, এই তালিকা হওয়ার সময় তাঁদের পাকা বাড়ি ছিল না। কাঁচা ঘরেই বসবাস ছিল। প্রশাসন সরেজমিনে তদন্ত করেই তালিকা প্রস্তুত করেছে। পরবর্তীকালে এই পাকাবাড়ি হয়। এতে কোনও দুর্নীতি নেই। তাহলে পাকা বাড়ি হয়ে যাওয়ার পরও কেন তাঁরা চুপ ছিলেন? কেন তালিকা থেকে নাম সরিয়ে নেননি? সেই প্রশ্নের কোনও উত্তর স্বামী-স্ত্রী দেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা সইদুল্লা লস্কর, মুর্শিদা লস্কররা দীর্ঘদিনই বাস করেন কাঁচা বাড়িতে। অভিযোগ, পাকা বাড়ির জন্য বহুবার আবেদন করেছেন তাঁরা। এখনও আবাসের তালিকায় তাঁদের নাম আসেনি। পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও ওই সদস্যার ছেলে-সহ পরিবারের নয় জনের নাম কীভাবে তালিকায় এল? সেই বিষয়টি নিয়ে অবাক হয়েছেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে দেখবে প্রশাসন। সেই কথাও জানিয়েছেন তিনি। ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি দেখেই আবাস তালিকায় নাম চূড়ান্ত করা হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement