Advertisement
Advertisement
ফরাক্কা

‘ছেলেকে সঙ্গে আনাই কাল হল’, আক্ষেপ ফরাক্কার দুর্ঘটনায় নিহত ইঞ্জিনিয়ারের বাবার

সোমবারই ছেলের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে দিল্লি যাচ্ছেন মৃত ইঞ্জিনিয়ারের বাবা।

Farakka bridge collapse changed this man's life forever
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 17, 2020 5:14 pm
  • Updated:February 18, 2020 2:05 pm

বাবুল হক, মালদহ: মাত্র এক মাস আগে নিজের দায়িত্বেই ছেলেকে ফরাক্কায় এনেছিলেন দুর্ঘটনাগ্রস্ত সেতুর সাইট ইনচার্জ উদয়বীর সিং। রবিবারের দুর্ঘটনায় ছেলেকে হারিয়ে এখন মাথা ঠুকছেন শোকে কাতর বাবা। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বারবার একটাই আক্ষেপ তাঁর গলায়, কেন এনেছিলাম ছেলেকে!

ইঞ্জিনিয়ারিং পাশের পর একটি আণবিক শক্তি সংস্থায় চাকরি নিয়েছিলেন ফরাক্কা ব্রিজ দুর্ঘটনায় মৃত বছর ২৬-এর শচীনপ্রতাপ সিং। কিন্তু তাঁর বাবা ফরাক্কায় ভেঙে পড়া সেতুটির সাইট ইনচার্জ উদয়বীর সিং চেয়েছিলেন ছেলে নিজের কাছেই থাকুক। তাই ছেলেকে বারবার ফরাক্কায় নির্মীয়মাণ সেতুর কাছে যোগ দিতে বলেছিলেন। বাবার পরামর্শেই নিউক্লিয়ার কেন্দ্রের চাকরি ছেড়ে চলতি বছর জানুয়ারিতে ফরাক্কার সেতু নির্মাণের কাজ দেখাশোনার কাজে যোগ দেন শচীন। আর ফরাক্কা আসাই কাল হল শচীনের। এসব ভেবেই রবিবারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর চোখের জল বাঁধ মানছে না উদয়বীর সিংয়ের। ছেলের কফিনবন্দি দেহ নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে ভেবেই শিউড়ে উঠছেন আদতে দিল্লির বাসিন্দা উদয়বীরবাবু। ক্রমাগত একটাই কথা বলে চলেছেন তিনি। “কেন ছেলেকে ফরাক্কায় এনেছিলাম!” 

Advertisement

আরও পড়ুন: নকশার ভুলেই নির্মীয়মাণ ফরাক্কা ব্রিজ বিপর্যয়! বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সাইট ইনচার্জের

Advertisement

জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বিয়ে হয় শচীনের। স্ত্রী ও তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে তাঁর। প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ফরাক্কার নির্মীয়মাণ সেতুটি ভেঙে পড়ার সময় কয়েকজন শ্রমিকের সঙ্গে ব্রিজের নিচে ছিলেন শচীন। আচমকা সেতুটি ভেঙে পড়তেই চাপা পড়ে মৃত্যু হয় ওই ট্রেনি ইঞ্জিনিয়ারের। রাতেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। সোমবারই দেহ নিয়ে সড়কপথে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন উদয়বীরবাবু। রাতে কফিনবন্দি ছেলেকে নিয়ে বিমানে দিল্লি পৌঁছবেন তিনি।

[আরও পড়ুন: নিরাপত্তা ছাড়াই বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে কাজ, তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ