Advertisement
Advertisement

Breaking News

অন্ডালের খোলামুখ খনিতে ধস ও আগুন, আতঙ্কে এলাকাবাসী

খনির ২০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে স্কুল এবং ৩০০ মিটারের মধ্যে রয়েছে গ্রাম৷

Fire in Andal open mouth mine sparks panic in area
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 22, 2019 4:56 pm
  • Updated:September 22, 2019 5:24 pm

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ফের ভয়াবহ ধস আর আগুন অন্ডালের মাধবপুরের খোলামুখ খনিতে। শনিবার বিকাল থেকেই খনিতে ফাটল দেখা যায়। এরপর সেই ফাটল দিয়ে ধোঁয়া ও আগুন বের হয়। রবিবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ এই এলাকায় আচমকাই শব্দ করে বিশাল ধস নামে। প্রায় পনেরো ফুট ব্যাসার্ধের চারটি বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে যায়৷ সেই গর্ত দিয়েই অনর্গল আগুন ও ধোঁয়া বের হতে থাকে। এই খনির দু’শো মিটারের মধ্যেই রয়েছে হরিশপুর প্রাথমকি বিদ্যালয় ও স্কুল। যার ফলে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সকলের মধ্যে৷ রবিবার দুপুর পর্যন্ত আগুন ও ধোঁয়া এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

[ আরও পড়ুন: ভুলে ভরা পরিচয়পত্র সংশোধনে সমস্যা, NRC আতঙ্কে আত্মঘাতী যুবক ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, প্রতি বছরই ইসিএলের কাজোরা এরিয়ার মাধবপুরের পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিতে আগুন লাগে। এই খোলা মুখ খনির দুশো মিটারের মধ্যে হরিশন্দ্রপুর প্রাথমকি বিদ্যালয়। তিনশো মিটার দুরে হরিশপুর গ্রাম। প্রায় দুই হাজার বাসিন্দার বাস এই গ্রামে। প্রতিবছর এই পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনিতে আগুন লাগলেও, তা এবারের মতন ভয়াবহ রূপ নেয়নি বলেই স্থানীয়দের দাবি। রবিবার সকাল থেকে কালো ও সাদা ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। হরিশপুর গ্রামের বাসিন্দা সুশান্ত বাউরি বলেন, “বারবার একই ঘটনা ঘটছে। এলাকার মানুষ ইসিএলের কাছে পূর্নবাসন চাইলেও, তাতে কর্ণপাত করছে না কর্তৃপক্ষ। ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এলাকা।’’ আগুন ও ধসের ভয়াবহতা চলতে থাকলে বন্ধ রাখতে হবে স্কুল, অভিযোগ স্থানীয়দের।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: তন্ত্রের ক্ষমতা বোঝাতে শিশুকে খুন, আটক নাবালক তান্ত্রিক ]

রবিবার ছুটির দিন থাকায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে পড়ুয়ারা৷ শনিবার সন্ধের পর পরিত্যক্ত খোলামুখ খনিতে আগুনের ভয়াবহতা আরও বাড়ে। সঙ্গে যুক্ত হয় গ্যাসের গন্ধও। ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাটির তলায় জমে থাকা মিথেন গ্যাসের সঙ্গে অক্সিজেন মিশলেই তাতে আগুন লেগে যায়। এই ক্ষেত্রেই ফাটল দিয়ে হাওয়া ঢোকার ফলেই আগুন বাড়ছে। তবে তাদের আশা মিথেন গ্যাস আগুনের সংস্পর্শে পুড়ে গেলেই ভয়াবহতা কমবে। ঘটনাস্থলে দফায় দফায় আসেন ইসিএলের আধিকারিরকরা। ইসিএলের কাজোরা এরিয়ার জিএম নরেশ কুমার সাহা জানান, “এই ধস বা আগুন নিয়ে আতঙ্কের এখনই কিছু নেই। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ইসিএল। ধস কবলিত এলাকা মাটি ও ছাই দিয়ে দ্রুত ভরাটের কাজও শুরু হয়েছে।”
ছবি: উদয়ন গুহরায়। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ