Advertisement
Advertisement

Breaking News

চুঁচুড়া পুরসভা

চুঁচুড়া পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি, পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল করলেন ফিরহাদ হাকিম

কয়েক মাস আগে ৬৭ জন মজদুর ও ৯ জন পিওন-সহ মোট ৭৪ টি পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়।

Firhad Hakim cancelled recruitment of Chinsurah municipality
Published by: Sayani Sen
  • Posted:July 3, 2020 7:28 pm
  • Updated:July 3, 2020 7:28 pm

দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: একটানা দু’দিন আন্দোলনের পর জয়ের হাসি হাসল হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার (Chinsurah Municipality) অস্থায়ী কর্মীরা। সরকারিভাবে শুক্রবার পুরসভার নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে গেল। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের কথা জানান। তবে কোনও সরকারি নির্দেশনামা না আসায় নবনিযুক্তরা বহাল তবিয়তে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পুরসভার এহেন কাজের বিরোধিতা করে বিরোধীরা যেরকম একাধারে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন অন্যদিকে পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরাও তীব্র আন্দোলন দেখিয়েছিলেন। সেই আন্দোলনে এবার সাফল্য এল অস্থায়ী কর্মীদের।

সম্প্রতি কয়েক মাস আগে ৬৭ জন মজদুর ও ৯ জন পিওন-সহ মোট ৭৪ টি পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হয়। অভিযোগ, সেই নিয়োগ পরীক্ষায় মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্যে এক বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ অন্যান্য কাউন্সিলরদের ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী ছিল। তাঁরা সকলেই নিয়োগপত্র পাওয়ার পর পুরসভার কাজে যোগও দেন। কেউ কেউ আবার ইতিমধ্যে তাঁদের বেতনও পেয়েছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিরোধীরা এবং পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পরই নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পুরমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান। ফিরহাদ হাকিম সাংসদের কথায় সিলমোহর দিয়ে নিয়োগ বাতিলের কথা জানান। কিন্তু লিখিত কোনও সরকারি নির্দেশনামা না আসায় পুরপ্রশাসক এতদিন সেই নিয়োগ বাতিল করেননি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাতে পিকনিক করতে বেরিয়ে আত্মঘাতী পরিযায়ী শ্রমিক, গড়বেতায় উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ]

এরপরই অস্থায়ী কর্মীরা নিয়োগ বাতিলের দাবিতে তীব্র আন্দোলন করতে শুরু করেন। দাবি করেন, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ করতে হবে। তাদের এই আন্দোলনের ফলে বৃহস্পতিবার পুরসভার দরজাই খোলা যায়নি। ফলে থমকে গিয়েছিল পুরসভার কাজ। কিন্তু শুক্রবার দুপুরের পর এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারিভাবে বাতিল হয়ে গিয়েছে বলেই জানা যায়। তাতেই রীতিমতো উৎসবের মেজাজে মেতে ওঠেন অস্থায়ী পুরকর্মীরা। পুরসভার গেটের সামনেই রীতিমতো জয়োল্লাসে মেতে ওঠেন তাঁরা। এই বিষয়ে বিদায়ী উপ পৌরপ্রধান অমিত রায় জানান, প্রথমে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই প্যানেল বাতিলের কথা বলেছিলেন। শুক্রবার সরকারিভাবে সেই চিঠি দপ্তরে এসে পৌঁছেছে। দুর্নীতির প্রসঙ্গে অমিত রায়ের বক্তব্য, পুরোটাই তদন্তের বিষয়। তদন্ত হলে দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে। শুক্রবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে পুরপ্রশাসক গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় এই নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আমফানের ত্রাণ ‘দুর্নীতি’র প্রতিবাদ ঘিরে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ, রণক্ষেত্র পটাশপুর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ