নন্দন দত্ত, বীরভূম: বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। অথচ ক্যানালের জলে ভেসে গেল জাতীয় সড়কের একাংশ। তীব্র স্রোতের জন্য পরপর দাঁড়িয়ে গেল পণ্যবাহী গাড়ি। রবিবার সকালে সিউড়ির পলসরার কাছে এমন ঘটনায় চমকে যান গাড়িচালকরা। সেচ দপ্তরের উদ্যোগে ক্যানালের জল আটকানো হয়। তবে এই ঘটনার জেরে সিউড়ি-দুবরাজপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে দীর্ঘ সময় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
[ফের জাতীয় স্তরে রাজ্যের স্বীকৃতি, ৯টি প্রকল্প জিতল পুরস্কার]
কয়েক সপ্তাহ আগে তিলপাড়া ব্যারাজের বাড়তি জলে ভেসেছিল বীরভূমের একাংশ। জল অনেক দিন আগেই নেমেছে। বৃষ্টিও তেমন হচ্ছে না। তবুও ভেসে গেল সিউড়ির পলসরায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেচ দপ্তর সূত্রে খবর, ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর তিলপাড়া ব্যারাজ দক্ষিণ শাখার ক্যানাল ভেঙে যাওয়ায় এই বিপত্তি ঘটে। ক্যানালের জল তীব্র গতিতে এগিয়ে আসে জাতীয় সড়কের দিকে। সেই বাড়তি জল সিউড়ির চন্দ্রভাগা ব্রিজের কাছে পলসরায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক ভাসিয়ে দেয়। রবিবার ভোর রাত থেকে জলের তোড়ে জাতীয় সড়কের একাংশ ভেঙে যায়। রাস্তা প্লাবিত হওয়ায় কার্যত বড় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জাতীয় সড়কের সরু অংশ দিয়ে ছোট গাড়ি কোনওরকমে যাতায়াত করে। রবিবার সকালে ক্যানালের গেট বন্ধ করে দেয় সেচ দপ্তর। তবে জল নামতে বেলা হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। জল নামার পর জরুরি ভিত্তিতে জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ শুরু হবে। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে হবে সোমবার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[ক্লাসরুমের মধ্যে ৫ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ, ধৃত পিওন]
আচমকা জলের জন্য জাতীয় সড়কে গাড়ির দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। বর্ষার সময় হিংলো নদীর জলে মাঝেমধ্যে প্লাবিত হয় এই ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তবে সিউড়িতে এমন ঘটনা মনে করতে পারছেন না প্রবীণরা।