Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভিলেন মাছি, জঙ্গলমহলে আদিবাসী মহিলাদের যৌনাঙ্গে সংক্রমণ

আক্রান্ত মহিলার সন্তান ধারণের ক্ষমতাও নষ্ট হয়ে যায়।

Flies cause serious ailment in Jungle Mahal women
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 12, 2018 11:28 am
  • Updated:June 12, 2018 11:28 am

টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: সমস্যাটা আঁতকে ওঠার মতোই! বাঁকুড়ায় আদিবাসী মহিলাদের মধ্যে যৌনাঙ্গে সংক্রমণ জনিত রোগ ক্রমশ বাড়ছে। চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন। সমস্যাটা সংক্রমণে নয়। ঋতুস্রাব চলাকালীন অপরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার ফলে সেখানে তৈরি হচ্ছে মাছির লার্ভা। আর তা জেনেই একেবারে চোখ ছানাবড়া অবস্থা। যৌনাঙ্গের ক্ষত থেকে পাওয়া যাচ্ছে ‘মাছি’র ডিম্বাণু !

[বিরল প্রজাতির পাখি মেরে ফেসবুকে নাগা জওয়ানদের উল্লাস, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে নালিশ বনদপ্তরের]

Advertisement

এই ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বাঁকুড়ার স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের কপালে। তাঁদের কথায়, বেশ কিছুদিন ধরেই যৌনাঙ্গের ক্ষত সমস্যা নিয়ে (ভ্যাজানাইল মায়োসিস) বাঁকুড়ার গ্রামগঞ্জ থেকে অনেকেই ভরতি হচ্ছেন হাসপাতালে। চিকিৎসকরা ক্ষতস্থানে খুঁজে পান এক ধরনের লার্ভা। পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ওই লার্ভাগুলি আসলে মাছির ডিম্বানু। যা থেকে জন্ম হয় ‘ক্রাইসোমিয়া’ প্রজাতির মাছির। পতঙ্গ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাল চোখ-উজ্জ্বল সবুজ বর্ণের এই প্রজাতির মাছি মৃলত দেখা যায় আম, কাঁঠালের পাশে ভনভন করে। এখন প্রশ্ন হল, মহিলাদের যৌনাঙ্গের ক্ষতস্থানে এই ক্রাইসোমিয়া প্রজাতির ‘মাছি’ জীবাণু আসছে কোথা থেকে? স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্রামগঞ্জে মহিলাদের স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবেই এই বিপত্তি। কারণ, ঋতুস্রাব চলাকালীন অপরিছন্ন থাকা, স্যানেটারি ন্যাপকিনের জায়গায় সাধারণ কাপড় ব্যবহার করা, স্নানের সময় নোংরা পুকুরে স্নান করা-সহ একাধিক কারণে এই ধরণের লার্ভা দেহে প্রবেশ করে। মহিলাদের যৌনাঙ্গে ‘ভ্যাজাইনাল মায়াসিস’তৈরি হয়। এবং সেখানেই ক্রাইসোমিয়া মাছির লার্ভা জুতসই পরিবেশ পেয়ে ক্ষত তৈরি করে। যা ধীরে ধীরে আক্রান্ত মহিলার সন্তান ধারণের ক্ষমতাও নষ্ট করে দেয়।

Advertisement

বাঁকুড়া সম্মেলনী মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রভাত কুমার মণ্ডল বলছেন, ইদানীং বাঁকুড়ার গ্রামের মহিলাদের মধ্যেই যৌনাঙ্গে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। যৌনাঙ্গে ক্যানস্যার প্রবণতাও বাড়ছে। গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক মহিলার যৌনাঙ্গের সংক্রমণস্থান থেকে একই ধরনের লার্ভা মেলায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞদের কপালে। ওই লার্ভা কোন প্রজাতির তা নিয়েই কৌতূহল দেখা দিয়েছিল চিকিৎসকদের মনে। ওই কৌতূহলের বশেই বাঁকুড়ার সোনামুখী কলেজের জ্যুলজি বিভাগের অধ্যাপক তথা পতঙ্গ বিশেষজ্ঞ শুভ্রকান্তি সিনহার সঙ্গে যোগাযোগও করেন তারা। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভরতি থাকা রোগীদের যৌনাঙ্গ থেকে পাওয়া লার্ভা সংগ্রহ করে পরীক্ষাও চালান শুভ্রবাবু। তিনি বলেন, ওই লার্ভা সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় মুরগির ওপর পরীক্ষা চালানোর পর দেখা গিয়েছে ওই লার্ভা থেকে জন্ম নিচ্ছে ওই ক্রাইসোমিয়া প্রজাতির ‘মাছি’। যা মূলত দেখা যায় আম এবং কাঁঠালের আশে পাশে। ‘লার্ভা’ সংগ্রহ করে পরীক্ষা চালিয়েছে্‌ বাঁকুড়া সম্মেলনী ডিগ্রি কলেজের জ্যুলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক রাজেন্দ্র প্রসাদ মণ্ডল।

[টাকা হাতাতে প্রেমের ফাঁদ পেতে যুবককে খুন, গ্রেপ্তার ৪]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ