Advertisement
Advertisement
Nirapada Sardar

অতীতেও চুপ থাকেননি, তৃণমূলের ‘অত্যাচার’ নিয়ে বিধানসভাতেও সরব হন নিরাপদ, প্রকাশ্যে নথি

গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাণ্ডবেশ্বরের সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন। ওই একই সময় নিরাপদ সর্দারও বিধায়ক ছিলেন সন্দেশখালির। গৌরাঙ্গবাবুই প্রকাশ করেছেন নথি।

Former CPM MLA of Pandabeswar Gauranga Chatterjee opens up over Nirapada Sardar | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:February 28, 2024 10:46 am
  • Updated:February 28, 2024 3:26 pm

শেখর চন্দ্র: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। শাসকদলের প্রশ্ন, এতদিন ধরে যদি অত্যাচার চলে থাকে তাহলে প্রাক্তন বাম বিধায়ক কেন অভিযোগ জানাননি? জামিনে মুক্তি পেয়েই এ নিয়ে মুখ খুলেছেন নিরাপদ সর্দার। বিধানসভায় তিনি এ বিষয়ে বলার চেষ্টা করলেও সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। এমনকী বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইকও। এসবের মাঝেই নিরাপদের স্বপক্ষে নথি পেশ করলেন পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়।

গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ২০১১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পাণ্ডবেশ্বরের সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন। ওই একই সময় নিরাপদ সর্দারও বিধায়ক ছিলেন সন্দেশখালির। গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের সংবাদমাধ্যমকে জানান বিধানসভায় বিধায়করা যে বক্তব্য রাখেন হয় তা রেকর্ড আকারে থাকে। বইয়ের প্রকাশিত থাকে লাইব্রেরির মধ্যে। ফলে তৃণমূল থেকে যখন দাবি করা হচ্ছে তিনি কেন এতদিন প্রতিবাদ করেননি? যখন বিধায়ক ছিলেন তখন কেন প্রশ্ন তোলেননি? তাঁর মনে পড়ে যায় নিরাপদবাবু তো সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে বিধানসভায় প্রায়দিন আওয়াজ তুলেছেন। এর পর বই বা নথি ঘেঁটে সেই সমস্ত তথ্য গুলি বের করে আনেন। যেখানে নিরাপদ ও স্পিকারের কথোপকথন রয়েছে। গৌরাঙ্গবাবু নথি দেখিয়ে দাবি করেছেন, নিরাপদ সর্দার বিধানসভায় এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, তাঁর কাছে ২০১১ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিধানসভার ছাপানো বইয়ের প্রতিটা ভলিউম আছে। নিরাপদর কথা শুনেই তাঁর মনে পড়ে, বহুবার নিরাপদ এনিয়ে বলেছেন। এর পরই বইগুলি ঘাঁটতে থাকেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী, লোকসভার আগেই বিজেপিতে যোগ? নিজেই দিলেন ইঙ্গিত]

তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন “বিধানসভায় কলিং অ্যাটেনশন বা দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব তো শুধু দাঁড়িয়েই বলা যায় না, লিখিতও করা যায়। লিখিত কোনও ডকুমেন্ট কি প্রাক্তন বিধায়ক আমাদের দেখাতে পারবেন?” নিশ্চিত এরকম কোনও দৃষ্টি আকর্ষণের প্রস্তাব বিধায়কের কাছ থেকে আসেনি। গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “২০১২ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লাগাতার এই কথা বলেছেন। অনেকের নাম করে বলেছেন। এমনকী নিরাপদ সর্দার এও বলেছেন, আপনারা যা করছেন ভবিষ্যৎ আপনাদের ক্ষমা করবে না। বিধানসভার অন্দরে নিরাপদ সন্দেশখালির প্রতিটি অত্যাচারের ঘটনা বলেছেন। তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছে। কখনও মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সন্দেশখালিতে ১৭৪ ধারা চলছে’, বেফাঁস মন্তব্যে নেটপাড়ায় ট্রোলড নুসরত জাহান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ