সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়: শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য দামোদরে নেমে তলিয়ে গেল চার বন্ধু। আজ সকালে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে এই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় অন্ডাল থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলার দল (Disaster Management Team)। তলিয়ে যাওয়া যুবকদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জেলার তৃণমূলের যুব সভাপতি রূপেশ যাদব, জেলা পরিষদের উপদেষ্টা কাঞ্চন মিত্রও।
এবছর ছয় বন্ধু একসঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। সকলেই পরীক্ষায় ভালভাবে উত্তীর্ণ হয়েছে। তাদের মানত ছিল, পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট হলে শ্রাবণ মাসের চারটে সোমবারই শিবের মাথায় জল ঢেলে পুজো দেবে। সেইমতো গত সপ্তাহ থেকে পুজো দেওয়া শুরু করে রাহুল মান্ডি, সৌরভ মণ্ডল, শিবু দাস ও সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়রা। গত সোমবার দামোদরে স্নান করে জল নিয়ে মন্দিরে গিয়ে মহাদেবের মাথায় সেই জল ঢেলেছিল তারা। এই সোমবারই একই পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা আর পূরণ হল না। এদিন সকালে অন্ডালের কুটিরডাঙাল ঘাটে দামোদরের জলে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছে চারজন।
[আরও পড়ুন: অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মদ্যপ ছেলেকে খুন, ভোররাতে থানায় আত্মসমর্পণ বৃদ্ধের]
জানা গিয়েছে, রাহুল, সৌরভ ও শিবু গোপালমাঠের মেঝেডিহি এলাকার বাসিন্দা ও সব্যসাচী গোপালমাঠেরই জগুরবাঁধ প্লটের বাসিন্দা। বাকি দুই বন্ধু গৌরব মণ্ডল ও ইন্দ্রনীল ঘোষ গোপালমাঠ সংলগ্ন বনগ্রামের বাসিন্দা। এদিন ভোর ৪টে নাগাদ ওই ছয় বন্ধু বাড়ি থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে অন্ডালের কুটিরডাঙাল ঘাটে পৌঁছয়। এরপর রাহুল, সৌরভ, শিবু ও সব্যসাচী দামোদরের জলে নামে স্নান করতে। কিছুক্ষণের মধ্যে চারজনই স্রোতের টানে তলিয়ে যায়। তা দেখে গৌরব ও ইন্দ্রনীল চিৎকার করে লোকজন ডাকাডাকি শুরু করে। চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন।
[আরও পড়ুন: সংকটজনক করোনা আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস, দেওয়া হল ভেন্টিলেশন সাপোর্ট]
সাতসকালে এই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছয় অন্ডাল থানায়। থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পার্থ ঘোষ-সহ কয়েকজন পুলিশকর্মী ওই ঘাটে পৌঁছন। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। দ্রুততার সঙ্গে তাঁরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধারকাজে নামেন। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে খবর।