টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: মেজিয়ায় বৃষ্টির জেরে কমল বিদ্যুৎ উৎপাদন। টানা বৃষ্টিতে কয়লা খনিতে জল জমে যাওয়ায় খননের কাজ থমকে গিয়েছে। আর কয়লা না পেয়ে প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। জানা গিয়েছে, একটি দুটি নয়, প্রায় চারটি ইউনিট কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর চিত্রটি ধরা পড়েছে বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে।
এই প্রসঙ্গে ডিভিসি-র মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিফ ইঞ্জিনিয়ার চন্দ্রশেখর ত্রিপাঠীর দাবি, বর্ষাকালে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ার ঘটনা শুধু মেজিয়াতে নয়। দেশের বেশিরভাগ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়। মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রতিদিন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩০ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন রয়েছে। সেখানে এই বর্ষাতে কয়লার জোগান রয়েছে দিন প্রতি ২০-২৫ মেট্রিক টন। কয়লার জোগান কম থাকায় এক ধাক্কায় কয়েকশো মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদন কমে গিয়েছে। যার জেরে মেজিয়ার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন গড়ে প্রায় ৮০০-১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। বর্ষার মরশুম পেরিয়ে গেলেই ফের কয়লার জোগান স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তাল মিলিয়ে বাড়বে বিদ্যুতের উৎপাদনও। তখন আবার আগের মতো দিনে মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন গিয়ে দাঁড়াবে ১৫০০-২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
[সন্তানরা বিদেশে, একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার পাশে এবার ‘নমন’]
তাই বর্তমানে চারটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ থাকলেও তাতে আমল দিতে নারাজ চিফ ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর মতে, এই কম উৎপাদন প্রতিবছরের মতো একটা নিয়মিত সমস্যা।