Advertisement
Advertisement

ফ্লাইং কিস দিয়ে আত্মঘাতী কিশোর, জীবনে ইতি টানল কিশোরী প্রেমিকাও

ঘুরিয়ে সম্পর্কের কথা স্বীকার মৃতার বাবা।

‘Girlfriend’ of dead Siliguri boy ends life
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 12, 2018 5:21 pm
  • Updated:September 13, 2019 11:34 am

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: ব্যবধান মাত্র ২৮ ঘণ্টার। নিজেদের বাড়িতে একইভাবে আত্মহত্যা করল প্রেমিক ও প্রেমিকা। দু’জনেই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। শনিবার রাতে নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল শিলিগুড়ির আশিঘর এলাকার বাসিন্দা অনুপ রায়। তাঁর শেষ  সময়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। রবিবার রাতে একই কায়দায় নিজেকে শেষ করে দিল অনুপের সহপাঠী শিপ্রা রায়। বাড়িতেই মিলল কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশের দাবি, অনুপ ও শিপ্রা একে অপরকে ভালবাসত। তাই প্রেমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সে-ও। মেয়ের সঙ্গে তাঁর সহপাঠীর সম্পর্কের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন শিপ্রার বাবা জগদীশ রায়ও।

[মৃত্যুর আগে ফ্লাইং কিস, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ভিডিও ভাইরাল]

Advertisement

শিলিগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে আশিঘর এলাকায় বাড়ির অনুপের। স্থানীয় ঘোঘোমালি হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল সে। এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার আর একমাসও বাকি নেই। নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল অনুপ। পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার সকালে দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকি করে তার সাড়া পাননি বাড়ির লোকেরা। ঘরে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজা ভাঙলে অনুপের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁরা। আত্মহত্যার আগে নিজের একটি ভিডিও তুলেছিল সে। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, চুম্বন ছুড়ে দিয়ে কাউকে বিদায় জানাচ্ছে অনুপ। মুখে তাচ্ছিল্যের হাসি। ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। ভিডিও দেখে পুলিশ একপ্রকার নিশ্চিত ছিল, যে প্রেমের সম্পর্কে ধাক্কা খেয়ে চরম পদক্ষেপ করেছে অনুপ।

Advertisement

[মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের অদূরে যুবকের মৃতদেহ, অভিভাবকদের বিক্ষোভ]

শেষপর্যন্ত পুলিশের অনুমানই সঠিক প্রমাণিত হল। রবিবার রাতে শিলিগুড়ি হাতিয়াডাঙা এলাকার বাড়ি থেকে শিপ্রা রায়ে নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘোঘোমালি হাইস্কুলেই দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত শিপ্রাও। অনুপের সহপাঠী ছিল সে। একই স্কুলের পড়ার সুবাদে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিল। রবিবার রাতে পরিবারের লোককে জানিয়েই বাড়ি থেকে ফিরেছিল শিপ্রা। কিন্তু, আর বাড়ি ফেরেনি। রাতে বাড়িরই একটি ঘরে শিপ্রার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির লোকেরা। মেয়ের প্রেমের সম্পর্কের কথা পরোক্ষে হলেও স্বীকার করেছেন মৃতার বাবা জগদীশ রায়। তিনি জানিয়েছেন, শিপ্রার সঙ্গে অনুপের বন্ধুত্ব ছিল। কিন্তু, কেন নিজেদের এভাবে শেষ করে দিল ওই দুই কিশোরী-কিশোরী?   তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

[বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না স্ত্রী, ফ্লেক্স ছাপিয়ে দরজায় অনশনে স্বামী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ