সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ফের চাঁদার নামে জুলুম। এবারও ঘটনাস্থল সেই বর্ধমান। স্থানীয় যুবকদের একাংশের দৌরাত্ম্যের থেকে রেহাই পেলেন না খোদ সাংসদও। গাড়ি থেকে নেমে আয়োজকদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। তারপরও কাজ হয়নি।
[অচেনা ব্যক্তিকে পুলিশ ভেবে ব্যবসায়ীর ধাক্কা, খালে পড়ে মৃত্যু যুবকের]
বুধবার বোলপুর থেকে কলকাতায় ফিরছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ। ২ বি জাতীয় সড়ক দিয়ে এগোনোর সময় বর্ধমান শহরের কাছে আলমপুরে তাঁর গাড়ি যানজটে আটকে পড়ে। গাড়ি থেকে নেমে রূপা বোঝার চেষ্টা করেন ঠিক কী হয়েছে। সাংসদ দেখেন কয়েকজন যুবক রাস্তা আটকে উরস উৎসবের নামে চাঁদা তুলেছে। এর ফলে জাতীয় সড়কের মতো ব্যস্ত রাস্তায় তীব্র যানজট। দু’দিকের গাড়ি চলাচল কার্যত বন্ধ। রূপা এগিয়ে গিয়ে আদায়কারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের এই কাজের তিনি প্রতিবাদ করেন। এতে উত্তেজনা বাড়ে। দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। উলটে রূপার মুখের উপর আদায়কারীরা জানিয়ে দেয় তারা চাঁদা তুলবেই। গোলমালের জেরে পরিস্থিতি অপ্রীতিকর হতে পারত। তবে রূপার সঙ্গে থাকা দেহরক্ষীরা অবস্থা সামাল দেন। ভাবগতিক খারাপ দেখে ক্ষুব্ধ রূপা এরপর গাড়িতে উঠে বসেন। তাঁর কনভয় কলকাতার দিকে রওনা হন। এই বিষয়ে বিজেপির বর্ধমান জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী জানান, দলীয় কাজে বোলপুর গিয়েছিলেন নেত্রী। সেখান থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা ঘটে। তবে এই নিয়ে অবশ্য থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে বিষয়টি তারা খোঁজ নিয়ে দেখছে।
[রেকর্ড দাম স্পর্শ করল পেট্রল-ডিজেল, মোদির জমানায় সর্বোচ্চ]
আলমপুর উরসের নামে চাঁদা তোলার ঘটনায় বিরক্ত গাড়ির চালকরা। তাঁদের অভিযোগ জোর করে টাকা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে জুটছে অকথ্য গালিগালাজ। কয়েক দিন বর্ধমানের মেমারিতে সরস্বতী পুজোর চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। গাড়ি আটকে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগে উত্তাল হয়েছিল মেমারি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য বুধবারের ঘটনা বুঝিয়ে দিল চাঁদার নামে জুলুম কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। আয়োজক বা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ক্রমশ জোরাল হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.