Advertisement
Advertisement

স্কুল চত্বরে পড়ে রয়েছে গাঁজার কলকে ও বোমার মশলা, বন্ধ পঠনপাঠন

অভিযোগ, নির্বিকার প্রশাসন৷

Goons make den in Rampurhat school, authorities mum

ছবি: সুশান্ত পাল

Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 28, 2018 5:42 pm
  • Updated:July 28, 2018 5:42 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নামেই প্রাথমিক স্কুল। কিন্তু স্কুল চত্বরে গড়াগড়ি খাচ্ছে মদের বোতল, গাঁজার কলকে, তাস, বোমা তৈরির মশলা ইত্যাদি। খোলা স্কুলের মধ্যেই রয়েছে গবাদি পশুর খাটাল৷ অসামাজিক এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে ছেলে-মেয়েদের দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে পাঠান না অভিভাবকরা। ফলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর অভাবে ধুঁকছে রামপুরহাট পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ জুনিয়ার হাইস্কুল। প্রশাসনের এই নির্বিকার ভূমিকার ভুগতে হচ্ছে পড়ুয়াদের৷ এমনই অভিযোগ করছেন অভিভাবকরা৷

[একসঙ্গে মিছিল করলেন মোদি-মমতা-অনুব্রত, সাক্ষী রইল সিউড়ি]

Advertisement

জানা গিয়েছে, ১৯৭৪-তে অনুমোদন পায় ব্রাহ্মণী গ্রামের শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠ জুনিয়র হাইস্কুল। খাতায়-কলমে স্কুলের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ৫১ জন। নিয়মিত হাজিরা দেয় ৩০ জন। রয়েছেন দু’জন স্থায়ী শিক্ষক এবং একজন পার্শ্ব শিক্ষক। রাস্তার দুরাবস্থা, সঙ্গে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ। তাই ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চান না অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, সন্ধ্যা হলেই স্কুল চত্বর চলে যায় সমাজ বিরোধীদের দখলে। সকালে স্কুলে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের মদের বোতল, গাঁজার কলকে ফেলতে হয়। মাস কয়েক আগে স্কুল চত্বর থেকে মিলেছে দুটি তাজা বোমা এবং বোমা তৈরির মশলা। সেই বোমা উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ৷ এমনকি, পাঁচিল না থাকায় গবাদি পশুর খাটালে পরিণত হয়েছে স্কুলের মাঠ এবং ঝোপ-জঙ্গলে বেড়েছে সাপের উপদ্রব৷

Advertisement

[মোদির অটোগ্রাফের জের, লাগাতার বিয়ের প্রস্তাবে নাজেহাল বাঁকুড়ার রীতা]

স্কুলের প্রধান শিক্ষক চিত্তপ্রিয় মণ্ডল বলেন, “স্কুলের সমস্যার কথা সর্বত্র জানিয়েছি। রাস্তা খারাপ। স্কুলের ভিতর মদের বোতল। প্রতিদিন জুয়ার আসর বসে। গবাদি পশুর মলমূত্র ত্যাগ করায় স্কুল চত্বর সব সময় নোংরা হয়ে থাকে। পরিবেশ ভাল নয়”। ওই স্কুলেরই ছাত্র ডালিম শেখ বলেন, “স্কুলে এসেই মদের বোতল ভাঙা পরিষ্কার করতে হয়। বাড়ির লোক তাই স্কুলে পাঠাতে চান না”। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ভগীরথ দাস বলেন, “স্কুলে শিক্ষার পরিবেশ নেই। স্কুল বন্ধ হলেই সেখানে অসামাজিক কাজ হয়। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি”। যদিও উলটো বচন শোনা গিয়েছে স্কুল পরিদর্শক অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের মুখে৷ তিনি বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছুই জানায়নি। তবে খোঁজ নিয়ে দেখব৷”

ছবি: সুশান্ত পাল

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ