Advertisement
Advertisement

Breaking News

গণপিটুনি

মালদহে গণপিটুনিতে নিহতের পরিবারের পাশে সরকার, ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য

পরিবারের হাতে চেক তুলে দিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি।

Govt provides financial help to the family Of death in lynching at Malda
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:July 7, 2019 10:40 am
  • Updated:May 20, 2020 10:10 am

বাবুল হক, মালদহ: মালদহে গণপিটুনিতে নিহত যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। তাঁর পরিবারের হাতে রাজ্য সরকারের তরফে দু’লক্ষ টাকা অনুদানের চেক তুলে দিলেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে সভাধিপতিকে গ্রেপ্তারির হুমকি, কাঠগড়ায় পুরুলিয়ার প্রাক্তন জেলাশাসক]

ঘটনার সূত্রপাত ২৬ জুন। সেদিন মালদহের বৈষ্ণবনগরে বাইক চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর করা হয় শানাউল শেখ নামে বছর ছাব্বিশের এক যুবককে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে উদ্ধার করে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতায়। এসএসকেএম হাসপাতালে মারা যান শানাউল। এদিকে শানাউলকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিও নজরে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের লোকেরা। দোষীদের শাস্তির দাবিতে রবিবার রীতিমতো ভাঙচুর চলে এলাকার দোকানপাট ও বাসে। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মালদহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যুর প্রতিবাদে সরব হন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। মৃতের পরিবারকে সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য ও একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি তোলেন তিনি। নিহতের বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের দেখাও করেন সুজাপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ইশা খান চৌধুরি। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তারও করেছে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

শনিবার সকালে বৈষ্ণবনগরে শানাউল শেখের বাড়িতে যান জেলা প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে ছিলেন  মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল, সহকারি সভাধিপতি চন্দনা সরকার, তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়, কালিয়াচক- ৩ নম্বর ব্লকের বিডিও ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “সম্প্রতি বাইক চোর সন্দেহে সানাউল শেখকে গণপিটুনি দেওয়া হয়েছিল। এবং সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে সানাউল শেখের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। কারও অধিকার নেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার। পুলিশ মামলা দায়ের হওয়ার পরেই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এই ঘটনাটি জানাজানি হতেই মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। দু’লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে।”  দুপুরে মৃতের বাড়িতে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের আবদুল মান্নান এবং সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী-সহ দুই দলের নেতারা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: কাটমানি বিক্ষোভের রোষ শিশুর উপরেও, মেমারিতে খুনের চেষ্টার অভিযোগ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ