সঞ্জীব মণ্ডল, শিলিগুড়ি: তিন মাসের শিশুকে ট্রেনে ফেলে নেমে গেল মা। অসহায় শিশুটিকে ট্রেনের মধ্যে কাঁদতে দেখে উদ্ধার করেন রেলপুলিশের দুই কনস্টেবল। উদ্ধারের পর ওই শিশুটিকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
শনিবার রাধিকাপুর-শিলিগুড়ি রাধিকাপুর ডিএমইউ প্যাসেঞ্জারের ঘটনাটি ঘটে। এদিন রাধিকাপুর থেকে ডিএমইউ প্যাসেঞ্জারটি শিলিগুড়ি জংশনে দুপুর বারোটা নাগাদ পৌঁছয়। ওই সময় দুই কনস্টেবল শিলিগুড়ি টাউন জিআরপি’র কাছে ওই শিশুটিকে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের প্রশ্নের উত্তরে ওই দুই কনস্টেবল বলেন, ট্রেনের মধ্যে একা শিশুটিকে কাঁদতে দেখে শিশুটির বাবা-মা’য়ের খোঁজ করেন তাঁরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকে না পেয়ে শিশুটিকে ট্রেন থেকে নিয়ে আসেন। ট্রেন থেকে শিশু উদ্ধারের ঘটনাটি এরপর চাইল্ড লাইনকে জানায় রেল পুলিশ। চাইল্ড লাইনের তৎপরতায় ওই শিশুকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[ মাঝ সমুদ্রে দুর্ঘটনা এড়াতে নয়া উদ্যোগ, ট্রলারে বসছে জিপিএস ট্যাগ ]
এরপরই এদিন সন্ধে নাগাদ শিলিগুড়ি টাউন জিআরপি’র কাছে হাজির হয় এক দম্পতি। তাঁরা নিজেকে সোমনাথ যাদব এবং রাবড়ি যাদব বলে পরিচয় দেন। রেল পুলিশকে ওই দম্পতি জানান, তাঁদের বাড়ি নেপালের ভদ্রপুরে। রাবড়ি দেবীর বাপের বাড়ি বিহারে। দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার কিষাণগঞ্জ থেকে ওই ডিএমইউ’তে ফেরার সময় গলগলিয়া স্টেশনে বিপত্তি ঘটে। তিন বছরের এক সন্তানকে নিয়ে ট্রেন থেকে নেমে পড়লেও কোলের শিশুটিকেই ট্রেন থেকে নামাতে পারেননি তিনি। ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। এরপর নিরুপায় হয়ে ঘটনাটি স্বামীকে ফোনে জানান তিনি। কোলের শিশু ট্রেনে রয়ে গিয়েছে শোনার পর সোমনাথবাবুও আর দেরি করেননি। তিনিও নেপাল থেকে চলে আসেন। এরপর গলগলিয়া থেকে শিলিগুড়িতে চলে আসেন ওই দম্পতি।
শিলিগুড়ি টাউন রেল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক ডিএসপি দেবাশিস দাস বলেন, ট্রেন থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। যে দম্পতি ওই শিশুটি তাঁদের সন্তান বলে দাবি করছেন তাঁদের প্রমাণপত্র দেখাতে বলা হয়েছে।
[ স্মার্টফোন ফেটে গুরুতর আহত কালনার যুবক, সংস্থার নামে অভিযোগ দায়ের ]