Advertisement
Advertisement

Breaking News

স্ত্রী ও মেয়েকে খুনে অনুতাপ, নিজের ফাঁসি চাইল অভিযুক্ত

'বাড়ি বিক্রি করে ঋণ শোধে আপত্তি ছিল স্ত্রী ও মেয়ের৷'

Habra: Man who murdered wife-daughter, seeks noose
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 22, 2018 5:59 pm
  • Updated:August 1, 2019 4:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  খুন বা ধর্ষণের মতো অপরাধে অভিযুক্তের ফাঁসি দাবি তো হামেশাই ওঠে৷ কিন্তু, অপরাধী নিজেই নিজের ফাঁসি চাইছেন, এমন কথা শুনেছেন কখনও?  বাস্তবে তেমনটাই ঘটেছে৷ স্ত্রী ও মেয়েকে খুনে অভিযুক্ত হাবরার শেখর দেবনাথ চাইছেন, তাঁর ফাঁসি হোক৷ পুলিশকে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, বাজারে প্রায় ১১-১২ লক্ষ টাকা দেনা হয়েছিল তাঁর৷ বাড়ি বিক্রি করে দেনা শোধ করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু, বাড়ি বিক্রিতে আপত্তি ছিল স্ত্রী ও মেয়ের৷ মানসিক চাপে তাঁদের খুন করে ফেলেছেন তিনি৷

[স্ত্রী-কন্যাকে খুন, দেহ খাটের নিচে রেখে আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যক্তির]

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার হাবরার মছলন্দপুরের বাসিন্দা শেখর দেবনাথ৷ স্ত্রী গৃহবধূ৷ একমাত্র মেয়ে পূজা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী৷ প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, শনিবারও মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল পূজা৷ কিন্তু, সোমবার তাঁকে পরীক্ষা দিতে যেতে দেখেননি তাঁরা৷ দিনভর ঘরে থেকে বেরোননি শেখরবাবুর স্ত্রী মিঠুও৷ পড়শিদের সন্দেহ হয়৷ তাঁদের দাবি, স্ত্রী ও মেয়ের কথা জিজ্ঞেস করতে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন শেখর৷ তারপর ঘরের ভিতর ঢুকে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি৷ শেখরকে বাঁচাতে প্রতিবেশীরা যখন তাঁর ঘরে ঢোকেন, তখন দুর্গন্ধ পান তাঁরা৷ খাটের নিচে উঁকি দিতে দেখা যায়, শেখর দেবনাথের স্ত্রী ও মেয়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে৷ দুটি দেহই প্লাস্টিকে মোড়া ছিল৷ খবর দেওয়া হয় মছলন্দপুর ফাঁড়িতে৷ মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ৷ শেখরকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে৷ পরে তাঁকে ভরতি করা হয় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে৷

Advertisement

[মাতৃহারা কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ আত্মীয়দের, গ্রেপ্তার ২]

হাসপাতালের বেডে শুয়েই স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেছিল শেখর দেবনাথ৷ আর এখন চাইছেন, তাঁর ফাঁসি হোক৷ পুলিশের দাবি, জেরায় অভিযুক্ত জানিয়েছে, বাজারে ১১ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দেনা হয়ে গিয়েছিল৷ বাড়ি বিক্রি করে দেনা মেটাতে চেয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, বাড়ি বিক্রিতে একেবারেই সায় ছিল না স্ত্রী ও মেয়ের৷ তাই মানসিক চাপে দু’জনকেই খুন করে ফেলেছেন তিনি৷ শেখর দেবনাথের দাবি, স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন৷ কিন্তু, প্রতিবেশীদের তৎপরতায় বেঁচে যান৷ বস্তুত,  শেখর দেবনাথের প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন, বাড়িতেই একটা ছোট কারখানা চালাতেন তিনি৷ চিটফাণ্ডে টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছিলেন শেখর৷ অর্থাভাবে বছর দেড়েক আগে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়৷ তারপর থেকে সবসময়ই মনমরা হয়ে থাকতেন শেখর দেবনাথ৷

[‘গ্রেপ্তার হইনি, ঠিক আছি’, গুজব উড়িয়ে ভিডিওবার্তা গুরুংয়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ