Advertisement
Advertisement

শিলাবৃষ্টির প্রকোপে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষতি, মাথায় হাত কৃষকদের

খেতে পড়েই নষ্ট হচ্ছে আলু৷

Hail storm damages potato farming
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 4, 2019 7:27 pm
  • Updated:March 4, 2019 7:27 pm

অরূপ বসাক, মালবাজার: লাভের মুখ দেখা দূর অস্ত, আলু চাষ করে এই মূহূর্তে উৎপাদনের খরচও উঠছে না গজলডোবার আলু চাষিদের। ফলে বিরাট ক্ষতির পাশাপাশি ব্যাংক বা মহাজনের সুদ মেটাবেন কী করে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আলু চাষিরা। সাম্প্রতিক শিলাবৃষ্টির পাশাপাশি গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো গজলডোবার কয়েকশো বিঘা কৃষি জমির আলুতে ধসা রোগ দেখা দিয়েছে। তার জেরে কৃষকদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ৷ 

কৃষিপ্রধান গজলডোবায় তিস্তা পাড়ের প্রায় ৭০০ কৃষক এবছর আলু চাষ করেছিলেন। মূলত জ্যোতি, পোখরাজ, লাল কে- ২, হ্যালন প্রজাতির আলু চাষ হয় এখানে। জেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষকদের একাংশ ইতিমধ্যেই খেত থেকে আলু তুলে নিয়েছেন৷ তবে যাঁরা তুলতে পারেননি অথবা একটু দেরি করে বীজ রোপণ করেছিলেন ক্ষতির মুখে মূলত তাঁরাই পড়েছেন৷ গজলডোবার আলু চাষিরা বলেন, বিঘা প্রতি আলু উৎপাদন করতে খরচ হয় ১৫ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এক বিঘায় মোটামুটি ২৫-৩০ কুইন্ট্যাল আলু পাওয়া যায়। বর্তমানে আলু বিক্রি করে প্রতি কুইন্ট্যাল ২৫০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ বিঘা প্রতি ৩০ কুইন্ট্যাল হিসেবে কৃষকদের ক্ষতির পরিমাণ কম করে হলেও ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে মাথায় হাত কৃষকদের।

Advertisement

আমের বিকল্প স্ট্রবেরি, অর্থলাভে নতুন দিশা মুর্শিদাবাদের কৃষকদের ]

Advertisement

দীনবন্ধু বিশ্বাস, প্রভাত বিশ্বা, কৃষ্ণ রায়ের মতো বহু কৃষক একপ্রকার বাধ্য হয়েই জমিতে আলু ফেলে রাখছেন। ব্যাংক বা মহাজনের ঋণ শোধ করবেন কীভাবে তা ভেবে কোনও কূলকিনারা পাচ্ছেন না কৃষকরা। তার উপর আবার রয়েছে শিলাবৃষ্টির প্রকোপ৷ ফলে এই মুহূর্তে দিশাহারা অবস্থা কৃষকদের। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আশার আলো দেখিয়েছেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। জলপাইগুড়ি জেলার সহকারী কৃষি অধিকর্তা ড: মেহফুজ আহমেদ উৎপাদিত আলুর কম দাম ও শিলাবৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, রাজ্য কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে সরকারি মূল্যে  ১০ মেট্রিক টন আলু কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ মার্চ থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা।কৃষকেরা যদি তাড়াহুড়ো না করে একটু ধৈর্য ধরেন তবে সরকারি সহায়ক মূল্য কিলো প্রতি ৫.৫০ টাকা দরে তাঁদের উৎপাদিত আলু সরকারের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও কৃষকেরা লাভের মুখ দেখবেন বলে জানিয়েছেন সহকারী কৃষি অধিকর্তা৷ 

এছাড়াও সহকারী কৃষি অধিকর্তা জানিয়েছেন, এবছর অসময়ের বৃষ্টির কারণে আলু উৎপাদক জেলা হিসেবে পরিচিত বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়ায় আলু চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে বেশিরভাগ আলুই। যার ফলে আগামী দিনে আলুর দাম বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে আলু কেনার প্রক্রিয়া শুরুর অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন গজলডোবা ফার্মার্স ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামপদ সরকার-সহ অন্য সদস্যরা।

উলটপুরাণ! অকালবর্ষণে মুনাফার আশায় উত্তরবঙ্গের আনারস চাষিরা ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ