Advertisement
Advertisement
Student Killing

মা ও সৎ বাবার হাতে খুন মেয়ে! বারাসতে ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে চাঞ্চল্য

ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির দেহ উদ্ধার হয়েছে নিজের বাড়ি থেকে।

Hanging body of girl student found from her house, mother and step father accussed in Barasat | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:April 3, 2022 9:51 pm
  • Updated:April 3, 2022 9:51 pm

অর্ণব দাস, বারাসত: মা ও সৎ বাবার বিরুদ্ধে মেয়েকে খুনের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল বারাসতের (Barasat) কাজিপাড়ায়। রবিবার সকালে নবম শ্রেণির নাবালিকা ছাত্রীর দেহ (Deadbody)উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে। মৃতার নাম আনিসা খাতুন, বয়স ১৪। এদিনই আনিসার বাবা তার মা এবং সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যদিও, অভিযোগ অস্বীকার করেছে মৃতার মায়ের পরিবার।

মৃত নবম শ্রেণির আনিসা খাতুন।

স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দত্তপুকুর থানা তেঁতুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা আজগর আলির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বারাসত কাজিপাড়া বাসিন্দা মাসকুরা বিবির। অভিযোগ, বছর সাতেক আগে কাজীপাড়ার বাসিন্দা এক ব্যক্তির সঙ্গে মাসকুরা বিবির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক (Extra Marrital Affair) তৈরি হয়। এই নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে আজগর এবং মাসকুরার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: আসন্ন উপনির্বাচনের প্রচারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, আগামী সপ্তাহেই আসানসোলে রোড শো]

বিচ্ছেদের পর থেকেই তাদের মেয়ে আনিসা মায়ের সঙ্গে কাজীপাড়ার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। বিবাহ বিচ্ছেদের বছর খানেকের মধ্যেই ওই এলাকার বাসিন্দা মাকরুল হোসেন মোল্লার সঙ্গে বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন মাসকুরা। তারপর থেকেই নাবালিকা মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু করে তার মা এবং সৎ বাবা এমনই অভিযোগ করেন আজগর আলি। তার দাবি, “এই কথা মাঝে মধ্যেই তাঁর দত্তপুকুরের বাড়িতে এসে মেয়ে নিজেই জানিয়েছেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেলাশেষে বেলাশুরু! বৃদ্ধাশ্রমে প্রেম, ৬৫ বছরের বৃদ্ধাকে বিয়ে করলেন সত্তরের বৃদ্ধ]

এদিন সকালে নাবালিকার মামাবাড়ির থেকে ফোন করে তার বাবাকে জানানো হয়, মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। এরপরই নাবালিকার বাবা বারাসত থানার খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। মৃতার এক আত্মীয় জানান, “আমাদের বাড়িতে এলে আনিসা জানাত যে, তার উপর নির্যাতন চলত এবং মারধর করা হত। মনে হয় না মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে। আমাদের ধারণা, মাসকুরা এবং তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী মিলেই শ্বাসরোধ করে খুন করেছে নাবালিকা মেয়েকে। খুনের পর আত্মহত্যার তত্ত্ব সাজাতে দেহ ঘরের সিলিংয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত চাই।” যদিও, মৃতার মায়ের বাড়ির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ