Advertisement
Advertisement
চুল

বাহারি হেয়ার স্টাইল! শিক্ষা দিতে ছাত্রদের চুল কাটলেন প্রধান শিক্ষক

প্রধান শিক্ষককের ভূমিকায় খুশি অভিভাবকরা।

Head Master of Lohapur MRM High School cuts students hair as punishment
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:November 19, 2019 7:39 pm
  • Updated:November 19, 2019 7:39 pm

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: এ যেন নন্টেফন্টের বাস্তব রূপ। স্কুলের ভিতর কাঁচি হাতে ঘুরছেন হেডমাস্টার। তাঁকে দেখে বেঞ্চের নিচে মাথা লুকোতে ব্যস্ত ছাত্ররা। নাহ, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বেঞ্চের নিচ থেকেই ছাত্রদের টেনে বের করে খ্যাঁচ খ্যাঁচ করে কাঁচি চালালেন প্রধান শিক্ষক। মঙ্গলবার এমনই কাঁচি অভিযানের সাক্ষী থাকল নলহাটির লোহাপুর স্কুলের পড়ুয়ারা। কাঁচি হাতে প্রধান শিক্ষকের হুংকার, রঙিন চুল নিয়ে স্কুলে আসা যাবে না। তাঁর এই ফতোয়া অমান্য করলে ফের একইভাবে ছেলেদের শিক্ষা দেবেন বলেই হুমকি দেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের এই সিদ্ধান্তে খুশি অভিভাবকরা।

ছাত্রদের চুল যেন স্পাইক করা না হয়। চিঠি দিয়ে এলাকার সেলুনগুলিতে এমনই আবেদন করেছিলেন এক প্রধান শিক্ষক। কিন্তু নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের লোহাপুর এম আর এম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ আবেদন-নিবেদনে না গিয়ে নিজের হাতে উঠিয়ে নিলেন কাঁচি। কারণ, ইদানীং সিনেমার অভিনেতাদের আদলে চুলে লাল, নীল, সাদা একাধিক রং করে স্কুলে আসছে পড়ুয়ারা। এতে স্কুলের পঠনপাঠনের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একজনকে দেখে বাকিরা প্রভাবিত হচ্ছে। তাই স্কুলের শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রথমে অভিভাবকদের বিষয়টি নিয়ে সচেতন করা হয়েছিল স্কুলের তরফে। কিন্তু তারপরও বেশ কয়েকজন ছাত্র চুলে রং করে কিংবা স্পাইক করে স্কুলে আসছে। তাই এদিন প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ নিজেই কাঁচি চালালেন স্কুলের পাঁচ ছাত্রের মাথায়।

Advertisement

প্রধান শিক্ষক বলেন, “বাহারি ভাবে চুল কেটে একজন স্কুলে এলে সে বিষয়টি বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। তাই আগেই অভিভাবকদের ডেকে এবিষয়ে সতর্ক করেছিলাম। তাতে কাজ না হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এমনটা করা না হলে দিন দিন চুলের ফ্যাশানের প্রবণতা বেড়ে যাবে। তাই কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।” প্রধান শিক্ষকের এই সিদ্ধান্তে শিলমোহর দিয়েছেন অভিভাবকরা। শেফালি বিবিরা বলেন, “প্রধান শিক্ষক সঠিক কাজ করেছেন। আমরা এতদিন পারিনি। তবে প্রধান শিক্ষক করে দেখিয়েছেন। এবার আশাকরি ওরা ভদ্রভাবে চুল কাটাবে।” স্কুলের মধ্যে প্রধান শিক্ষক চুল কেটে দিলেও খুব একটা খুব একটা ক্ষোভ নেই ছাত্রদেরও। ষষ্ঠ শ্রেণির রাজেন মাল, সন্তু মাল বলে, “আমরা চুল কেটে রং করিয়েছিলাম। প্রধান শিক্ষক কেটে দিয়েছে তাতে আমাদের কোন দুঃখ নেই। এভাবে আর চুল কাটব না।”

Advertisement

দেখুন ভিডিও: 

ছবি: সুশান্ত পাল

[আরও পড়ুন: ঢেউয়ের সঙ্গে পাড়ে লাফিয়ে এল ইলিশ, দিঘার সৈকতে শোরগোল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ