ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: নিম্নচাপের জেরে কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি৷ সঙ্গে রয়েছে বজ্রাপাত৷ তার জেরে ইতিমধ্যেই মোট ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে৷ নিহতদের মধ্যে আটজন পুরুলিয়ার বাসিন্দা৷ বাকি তিনজন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এবং দু’জনের বাড়ি ঝাড়গ্রামে৷
সোমবার সকাল থেকে অঝোর বৃষ্টিতে ভিজছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবার সাতজেলিয়া৷ দুপুর থেকে বজ্রপাত শুরু হয়৷ সেই সময় জমিতে ধান চাষের কাজ করছিলেন বাবা শ্রীবাস মৃধা ও ছেলে হরিপদ মৃধা। আচমকা বাজ পড়ায় দু’জনই ঘটনাস্থলে মারা যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করেন৷ বাবা-ছেলের শোকে ভাসছেন পরিজনেরা৷ অন্যদিকে, সাতজেলিয়ার পরশমণি গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় কপিল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির। তিনিও জমিতে চাষের কাজ করছিলেন। স্থানীয়রাই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
ধবলাট গ্রাম পঞ্চায়েতের শিবপুর গ্রামে দুপুরে ইদ উপলক্ষে মাঠে অনুষ্ঠান চলছিল। বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করছিল চোদ্দ বছরের আসমা খাতুনও। হঠাৎই আকাশ কালো করে ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। শুরু হয় বজ্রপাত। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় বাজ পড়ে। মাঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়ে ওই নাবালিকা৷ তড়িঘড়ি অচেতন ওই কিশোরীকে রুদ্রনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান।
পুরুলিয়াতে মাঠে চাষের কাজ করার সময় বজ্রাপাতে মৃত্যু হয়েছে মোট আটজনের৷ নিহতদের মধ্যে মহিলারাও রয়েছেন৷ আচমকা বজ্রাপাতে মাঠে লুটিয়ে পড়েন তাঁরা৷ তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তবে ততক্ষণে সব শেষ৷ চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন হাসপাতালে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে প্রত্যেকের৷ একইসঙ্গে আটজনের মৃত্যুতে চোখের জলে ভাসছে গোটা এলাকা৷ প্রতিটি বাড়ি প্রায় শোকস্তব্ধ৷ বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছেন পরিজনেরা৷ এছাড়া ঝাড়গ্রামে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.