৫ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বন্ধের মুখে উচ্চমাধ্যমিকে ষষ্ঠ রূপসা উপাধ্যায়ের স্কুল, ‘নেপথ্য সিপিএম’, দাবি তৃণমূল-বিজেপির

Published by: Tiyasha Sarkar |    Posted: June 1, 2023 4:50 pm|    Updated: June 1, 2023 9:31 pm

Hindmotor High school going to be close due to lack of students

সুমন করাতি, হুগলি: বন্ধের মুখে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ স্থানাধিকারী রূপসা উপাধ্যায়ের স্কুল, হিন্দমোটর হাই স্কুল। এর পিছনে রয়েছে সিপিএমের হাত, এমনই অভিযোগ করেছে তৃণমূল ও বিজেপি। যদিও পড়ুয়া নেই বলেই এই সিদ্ধান্ত, জানিয়েছে স্কুল।

১৯৫৩ সালে পথচলা শুরু হিন্দমোটর হাই স্কুলের। জেলার অন্য নামী স্কুলগুলির মধ্যে এটি একটি। এবার সেই স্কুল বন্ধের পথে। কিন্তু হটাৎ করে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র তথা কানাইপুর গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান অচ্ছেলাল যাদব বলেন, এই স্কুলে তাঁদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়া খুব দুঃখের। প্রধান আরও জানান স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তিনি কথা বলেছিলেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁরা আর এই স্কুল চালাতে পারছে না বিভিন্ন কারণে,তার মধ্যে স্কুলে ছাত্রছাত্রী কমে যাওয়া অন্যতম কারণ। কিন্তু এরপরেও কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছিল যাতে এই স্কুল বন্ধ না করা হয়। এই স্কুলের অনেক পড়ুয়াই বর্তমানে প্রতিষ্ঠিত। স্কুল বন্ধের খবরে হতাশ তারাও।

[আরও পড়ুন: ডিএলএড কোর্সে ভরতিতেও আইনি ধাক্কা, ফের স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়াল হাই কোর্ট]

এই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র হুগলি জেলা বিজেপির সদস্য পঙ্কজ রায় বলেন, “এই স্কুল বন্ধের পিছনে সম্পূর্ণ হাত রয়েছে সিপিএম দলের। একসময়ের ভাল ভাল শিক্ষকদের সরিয়ে সিপিএম তাঁদের পরিবারের লোকদের চাকরি দিত এই স্কুলে। সিপিএম চক্রান্ত করে এই স্কুলের ফি বৃদ্ধি করিয়েছিল। স্কুল বাঁচাতে সমস্ত সরকারি দপ্তরে চিঠি দেওয়া হয়েছে।” স্কুল বাঁচাতে দলীয় পতাকা ছেড়ে তৃণমূলের সঙ্গে লড়তেও প্রস্তুত তাঁরা। অপরদিকে এই স্কুলের আরেক প্রাক্তন ছাত্র তথা উত্তরপাড়া পুরসভার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, এই স্কুলের সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে। এই স্কুলে বহু ভালভাল ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করেছে। তিনি চান এই স্কুল যেনো বন্ধ না হয়।

প্রসঙ্গত, একসময় এই স্কুলের ছাত্রছাত্রী ছিল প্রায় ৩০০০ থেকে ৪০০০। কিন্তু এখন সেটা প্রায় ৪০০ তে এসে দাঁড়িয়েছে। একটা ঐতিহ্যবাহী স্কুলের হটাৎ এরকম অবস্থায় চিন্তায় সকলেই।

 

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে